সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: বাড়ির পিছনে পুঁতে রাখা ছিল দেহ। বুধবার বিকেলে মাটি খুঁড়ে সেই দেহ উদ্ধার করল পুলিস। যা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ময়নাগুড়ির ব্রহ্মপুরে।
একটি দেহ মাটিতে পোঁতা রয়েছে। খবর পেয়ে সকাল থেকে কাতারে কাতারে মানুষ ব্রহ্মপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিসও। বিকেলে পরিযায়ী এক শ্রমিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দেহটি। যদিও পুলিস রাতে মৃতের পরিচয় জানতে পারে। জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার খণ্ডবাহলে উমেশ গণপত জানিয়েছেন, মৃত যুবকের নাম গৌতম রায়। বাড়ি বালাসনে। কে বা কারা দেহ পুঁতে রাখল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। এদিন অবশ্য ওই পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁর স্ত্রী বাড়ি ছিলেন না।
সকালে জমিতে গোরু বাঁধতে গিয়ে একটি বাইক পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন। খবর যায় ভোটপট্টি ফাঁড়িতে। পুলিস তদন্তে আসে। পরে সূত্র মারফত পুলিস খবর পায়, এলাকার একটি বাড়িতে মৃতদেহ পুঁতে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে চলে আসেন জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) সমীর আহমেদ, ডিএসপি (ক্রাইম) শান্তিনাথ পাঁজা সহ পুলিস অফিসাররা। অবশেষে বিকেলে উদ্ধার হয় দেহটি।
পদমতি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬২ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য বাবলু রায় জানিয়েছেন, পরিযায়ী ওই শ্রমিক অসমে কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। সম্প্রতি তিনি বাড়ি আসেন। তবে এদিন সকাল থেকে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে এলাকায় দেখা যায়নি। অতিরিক্ত পুলিস সুপার বলেন, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠানো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেই বাড়ির মালিকের খোঁজ চলছে। নিজস্ব চিত্র।