নিজস্ব প্রতিনিধি, খড়্গপুর: খড়্গপুর শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের পটরখোলি এলাকার সাতমাতা পুজো মহোৎসব ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায়। বুধবার থেকেই নিষ্ঠা সহকারে এই পুজো শুরু হয়। খড়্গপুরের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও ওড়িশা রাজ্যের মানুষও পুজোয় শামিল হয়। রবিবার পর্যন্ত চলবে মহোৎসব। পুজো অর্চনার সঙ্গে সাতমাতা মন্দির কমিটির তরফে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ জুন পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে স্থানীয় কাউন্সিলার ডি বাসন্তী সহ পুজো কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুজো কমিটির তরফে কয়েক হাজার মানুষের জন্য ভোগ প্রসাদের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সারা বছর ধরে মানুষ এই পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকে। রবিবার হবে প্রতিমা বিসর্জন।
স্থানীয় কাউন্সিলার ডি বাসন্তী বলেন, এই পুজো ঘিরে এলাকার মানুষজন উন্মাদনায় মেতে উঠেছেন। সকলের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় মাপের পুজোর আয়োজন করা সম্ভব ছিল না। প্রতিবছরই রীতি মেনে এই পুজো হয়ে থাকে। এই পুজো কমিটির পাশে সর্বদা থাকব। সকলকে পুজায় উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
পুজো কমিটির সভাপতি ধর্মা আচার্য বলেন, পুজোর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। রবিবার সবচেয়ে বেশি ভিড় হবে। স্থানীয় মহিলারা এই পুজোয় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। প্রসঙ্গত, খড়্গপুর শহরে হরিজন সমাজের উদ্যোগে ১৯৬৯ সালে এই পুজো শুরু হয়। প্রথম দিকে পুজোর কমিটির সদস্য সংখ্যা কম ছিল। পুজো সংক্রান্ত বিষয়ে আড্ডার আসর বসত পুজো কমিটির সদস্যদের বাড়িতে। পরবর্তী সময়ে পুজো কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকে। এবছর পুজোয় ওড়িশার বাসিন্দা মাম্মি নায়েক, সিম্পু গড়ুড় ও স্থানীয় বাসিন্দা রোমা নায়েক বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, এই পুজোর জন্য সাধারণ মানুষ অপেক্ষায় থাকে। এবছর রেকর্ড পরিমাণ ভিড় হচ্ছে।
পুজোর উপদেষ্টা কমিটির সদস্য তপনকুমার সেনগুপ্ত বলেন, সাতমাতা খুবই জাগ্রত। পুজো অর্চনার সঙ্গে সামাজিক কাজেও এগিয়ে এই কমিটির সদস্যরা। তাঁদের উদ্যোগে রক্তদান, বস্ত্রদান শিবির করা হয়। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির সময়ও কমিটি সদস্যরা মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। পুজো কমিটির সম্পাদক যিশু পাত্র ও কোষাধ্যক্ষ সুনীল বাঙারি বলেন, মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের প্রধান কর্তব্য। আমাদের মূল মন্ত্র একতা।-নিজস্ব চিত্র