• বনগাঁয় জঞ্জাল পড়ে দূষিত ইছামতীর জল, স্নান করলে ছড়াচ্ছে নানা রোগ
    বর্তমান | ০৫ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: ইছামতী নদীর ঘাটগুলি পড়ে রয়েছে চরম অবহেলায়। আজ পাঁচ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এদিনও অবহেলার ছবি দেখা গেল, কোনও ব্যতিক্রম হল না। মৃতপ্রায় ইছামতী দিয়ে জলের স্রোত বয় না বহুকাল। জল নেই। তার উপর বনগাঁ শহরে থাকা একাধিক ঘাট আবর্জনায় ভরেছে। জলের চিহ্নটুকু দেখা যায় না। আবর্জনার কারণে নদীতে নেমে স্নান করতে ভয় পায় মানুষ। দূষিত জলে স্নান করে অনেকের চর্মরোগও হয়েছে বলে অভিযোগ। শহরের নাগরিকরা আবর্জনা ফেলেন নদীতে। ক্রমেই আরও দূষিত হয়ে উঠেছে নদী। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার উভয়েই নদী বাঁচানোর উদ্যোগ নেয় না বলে অভিযোগ। 

    বনগাঁ থানার স্নানের ঘাট এই এলাকার জনপ্রিয় স্থান। একসময় বহু মানুষ স্নান করতে আসতেন। বর্তমানে কম মানুষ যান। পুজোর বা শ্রাদ্ধের বাতিল উপকরণ এই ঘাটে ফেলে মানুষ। পুরসভা কালেভদ্রে নোংরা পরিষ্কার করে। তবে তা যথেষ্ট নয়। স্নানের অযোগ্যই হয়ে রয়েছে ঘাটটি। এছাড়া বনগাঁ শ্মশানঘাটের অবস্থাও করুণ। শ্মশান যাত্রীদের ফেলে দেওয়া আবর্জনায় ভরেছে ঘাট। বনগাঁ রাখালদাস সেতুর নীচে নোংরার স্তূপ। শ্যামল বিশ্বাস নামে বনগাঁর মুরিঘাটার এক বাসিন্দা বলেন, ‘একসময় নদীতে জোয়ার-ভাটা খেলত। স্নানের ঘাটগুলি ছিল দেখার মত। আমরা সাঁতার কাটতাম নদীতে। এখন আবর্জনার নদী হয়ে উঠেছে।’

    নদী শুধু নয় পরিবেশ দিবসে দেখা গিয়েছে, উদাসীনতার ছবি ফুটে উঠেছে শহরের বিভিন্ন বাজারে। প্লাস্টিকের নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগের রমরমা বনগাঁ নিউ মার্কেট, ট’বাজার, নেতাজি মার্কেট সহ একাধিক বাজারে। ব্যবহৃত প্লাস্টিক এসে জমে নদীনালা, নিকাশি নালায়। ছড়ায় দূষণ। বনগাঁ পুরসভা বাজারগুলিতে মাঝেমধ্যে অভিযান চালায়। তারপর কয়েকদিন বন্ধ থাকে প্লাস্টিক। দু’দিন পর আবার শুরু হয়। যদিও বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন, ‘আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাই। নিষিদ্ধ ক্যারিব্যাগ ব্যবহার অনেক কমেছে। নদী সংস্কার কেন্দ্র সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত। তবুও আমরা বিভিন্ন সময় নদীর আবর্জনা সাফ করি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)