বিয়ে করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পাত্র বিজু জনতা দলের সাংসদ পিনাকী মিশ্র। জার্মানির বার্লিনে পুরীর প্রাক্তন সাংসদ পিনাকীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মহুয়া। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাঁরা।
মহুয়া-পিনাকী দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে ড্যানিশ ফিনান্সার লার্স ব্রর্সনকে বিয়ে করেন মহুয়া। যদিও সেই বিয়েতে ছেদ পড়ে। অন্য দিকে পিনাকীর প্রথম স্ত্রী সঙ্গীতা মিশ্র। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। পিনাকীরও সেই বিয়েতে ছেদ পড়েছে অনেক দিন আগেই। এ বার জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন তাঁরা।
কালীগঞ্জে উপনির্বাচন। ভোট হলে দাপিয়ে প্রচার করেন মহুয়া। তবে নিজের এলাকার ভোটে একদিনও দেখা যায়নি তাঁকে। তাঁর অনুগামীরা জানিয়েছিলেন, মহুয়া বিদেশে আছেন ব্যক্তিগত কাজে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সামনে আসে তাঁর বিয়ের খবর। প্রকাশ্যে আসে বিয়ের ছবিও। একেবারে ছিমছাম সাজে মহুয়া। শাড়ির সঙ্গে মানানসই গয়না। মুখে চওড়া হাসি।
১৯৭৪ সালের ১২ অক্টোবর অসমে জন্ম মহুয়ার। মার্কিন মুলুকে উচ্চশিক্ষা। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসেবে কেরিয়ারের শুরু। এর পর কংগ্রেস দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ২০১০ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। ২০১৬ সালে করিমপুরের বিধায়ক, এর পর ২০১৯ ও ২০২৪-এ কৃষ্ণনগরের সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি।
রাজনীতির পাশাপাশি আইনজীবী হিসেবেও যথেষ্ট নাম পিনাকী মিশ্রের। ১৯৫৯ সালে জন্ম। সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। পিনাকীরও রাজনৈতিক জীবন শুরু কংগ্রেস থেকেই। ১৯৯৬ সালে পুরীর সাংসদ হন কংগ্রেসের টিকিটে। পরে বিজু জনতা দলে যোগদান এবং বিজেডির হয়েই ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে পুরীর সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়া। যদিও ২০২৪ সালে বিজেডি টিকিট দেয়নি পিনাকীকে।