দেব গোস্বামী, বোলপুর: পুলিশ অফিসারকে হুমকি দেওয়া ভাইরাল অডিও কাণ্ডে অবশেষে পুলিশে হাজিরা দিলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ বোলপুরের SDPO কার্যালয়ে পৌঁছে যান তিনি। অনুব্রতর আগমন উপলক্ষে শান্তিনিকেতনে এসডিপিও দপ্তর ছিল নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে ছিলেন কার্যালয়ে। তবে সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল পিছনের দরজা দিয়ে কার্যালয়ে ঢুকেছেন। পুলিশ আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে দু’বার বোলপুর পুলিশের তলব পেয়েও হাজিরা দেননি অনুব্রত। অসুস্থতা, বিশ্রামের ‘অজুহাত’ দিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তবে ‘বেড রেস্ট’ শেষ হওয়ার পর আজই গেলেন পুলিশের কাছে।
জানা যায়, পিছনদিকের গেট দিয়ে ঢুকেছেন তিনি। নিজে যে গাড়িতে চড়েন, তা সেই গাড়ি ও কনভয় ছাড়া একটি কালো এসইউভি গাড়িতে এসডিপিও দপ্তরে যান কেষ্ট। আর তারপর মহকুমা পুলিশ অফিসারের অফিসে তৎপরতা বাড়তে দেখা যায়। বোলপুরের আইসি লিটন হালদারকে ফোনে অকথ্য ভাষায় হুমকির অভিযোগে পুলিশ অনুব্রতর বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। সেই মামলাতেই তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থ বলে বেশ কয়েকদিন হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা। চিকিৎসকের পরামর্শে ছিলেন পুরোপুরি বিশ্রামে। আজই বিশ্রামের শেষ দিন ছিল। তাই পুলিশের তলবে সাড়া দিয়ে এদিন অনুব্রত হাজিরা দিলেন পুলিশের কাছে। বোলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, “তিনটে ২৫ নাগাদ অনুব্রত মণ্ডল আমাদের দপ্তরে এসে পৌঁছেছেন।”
এই ভাইরাল অডিও নিয়ে তৃণমূলের তরফে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) কড়া চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তার ভিত্তিতে তিনি নিঃশর্তে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। তবে পুলিশের তরফে মামলা দায়েরের পর নিয়ম অনুযায়ী হাজিরা দেওয়ার কথা। তিনি বারবার এড়িয়ে গেলেও তাঁর হয়ে আইনজীবী পুলিশের সঙ্গে দেখা করে অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন। প্রয়োজনীয় নথিও পেশ করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার অনুব্রত হাজিরা দেওয়ায় অনেকের অনুমান, দলের নির্দেশ মেনেই এই কাজ করলেন তিনি।