• খুনের পর দেওয়ালে গাঁথার পরিকল্পনা, এলাকাতেই বালি-সিমেন্ট জোগাড় প্রেমিকা কাকিমার!
    প্রতিদিন | ০৫ জুন ২০২৫
  • বাবুল হক, মালদহ: মালদহে ব্যবসায়ী খুনে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের পরিকল্পনা করে মৃত সাদ্দাম নাদাবকে বাপের বাড়ি ডেকেছিল কাকিমা অর্থাৎ প্রেমিকা মৌমিতা হাসান। তবে তখনও দেহ দেওয়ালে গাঁথার পরিকল্পনা ছিল না বলেই খবর। খুনের পর প্রমাণ লোপাটের আর্দশ উপায় এটাই মনে হয়েছিল গুণধরদের। এরপরই এলাকা থেকে জোগাড় করে বালি-সিমেন্ট। মৃতের কাকিমা (প্রেমিকা) ও কাকুকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করলেই গোটা বিষয়টা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।

    এবিষয়ে মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার শিহুর গ্রামে মৌমিতার বাপের বাড়িতেই অপহৃত ব্যবসায়ী সাদ্দাম নাদাবকে খুন করা হয়। নিহতের শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের তিনটি চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মৌমিতা হাসান ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে খুনের ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। তিনি আরও জানান, খুনের পর তপনের শিহুর গ্রাম থেকেই দেওয়াল প্লাস্টার করার জন্য সিমেন্ট, বালি, পাথর জোগাড় করেছিল খুনিরা। যাদের কাছ থেকে এইসব নির্মাণ সামগ্রী জোগাড় করা হয়েছিল, পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে পরকীয়া ও টাকাপয়সা নিয়ে ঝামেলার কারণেই যে এই খুনের ছক, তা মোটের উপর স্পষ্ট।

    প্রসঙ্গত, গত ১৮ মে মালদহ থেকে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যান ব্যবসায়ী সাদ্দাম। ২০ তারিখ পরিবারের তরফে ইংরেজবাজার থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। এরপর ২৩ তারিখ অপহরণের অভিযোগ করা হয়। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপরই মৌমিতা নাদাব নামে কর্মসূত্রে যার বাড়িতে থাকতেন ওই যুবক, স্বামী-সহ ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জেরা করতেই প্রকাশ্যে আসে হাড়হিম করা তথ্য। জানা যায়, ওই মহিলা খুন করে সাদ্দামকে। এরপর প্রমাণ লোপাটে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানা এলাকায় ধৃতের বাপের বাড়িতে। সেখানে দেওয়ালে সাদ্দামের দেহ গেঁথে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়। ধৃতের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাদ্দামের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)