• যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদের ঘরে ভাঙচুর, নেপথ্যে কারা?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ জুন ২০২৫
  • ফের খবরে উঠে এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বিতর্কের কেন্দ্রে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদের ঘর। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই ঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে। তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার সকালে ছাত্ররা ঘরে ঢুকেই দেখতে পান, আসবাবপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, ঘরের আরও জিনিসপত্র ভাঙচুর অবস্থায় রয়েছে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্র সংসদ।



    সংসদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘরটি রাতে খোলা থাকে না এবং সেখানে কোনও তালা বা সিসিটিভি নজরদারির ব্যবস্থা ছিল না। ফলে ঘটনার সময় ঠিক কী ঘটেছিল, তা স্পষ্ট নয়। তবে ছাত্রদের একাংশের দাবি, এক যুবককে সেখানে দেখা গিয়েছে। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেট সারা রাত খোলা থাকে। সেই গেটের সিসিটিভি ক্যামেরা দেখলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। ছাত্রদের অভিযোগ, ওই যুবকের আচরণ অস্বাভাবিক ছিল। তাঁদের অনেকে সন্দেহ করছেন, তিনি সম্ভবত মত্ত অবস্থায় ছিলেন। ছাত্রদের একাংশের দাবি, ওই যুবক অন্য কোনও ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। যদিও এখনও পর্যন্ত সেবিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি ছাত্ররা।


    জানা গিয়েছে, এদিনের ঘটনার পরই ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, ঘটনাটি যাদবপুর থানায় জানানোর জন্যও কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন পড়ুয়ারা। সমাজমাধ্যমে ছাত্রদের একটি পোস্টে এই ঘটনার জন্য শাসকদল ও প্রধান বিরোধী দল উভয়ের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। এবিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক স্নাতকোত্তর ছাত্রের অভিযোগ, নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন রয়েছে। সিসি ক্যামেরা থাকলেও, নজরদারি না থাকলে এমন ঘটনা রোখা সম্ভব নয়। তাঁর আরও দাবি, যারা বারবার বিশ্ববিদ্যালয় দখলের কথা বলে, তাদের ভূমিকা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হচ্ছে।



    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের তরফে জানানো হয়েছে, তারা যে এরসঙ্গে যুক্ত তার কোনও প্রমাণ নেই। অযথা নাম জড়ালে তারা আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটতে বাধ্য হবে। এদিকে, পুরো ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, রেজিস্ট্রার বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। কে বা কারা এর পিছনে রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। তদন্ত করা হবে। এই ঘটনার পরই ছাত্রদের পক্ষ থেকে দোষীদের শাস্তি এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জোরালো হয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)