এক স্বর্ণশিল্পীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর। অভিযোগ, বুধবার গভীর রাতে গণেশ পণ্ডিতের বাড়ির ভিতরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। কোনওক্রমে প্রাণে রক্ষা পান পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ। তবে এ দিন দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
দাসপুর থানার দুর্গাপুর গ্রামে বাড়ি গণেশ পণ্ডিতের। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, রাত ২টো নাগাদ পেট্রোল ঢেলে একতলায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা সকলেই তখন দোতলায় ঘুমোচ্ছিলেন। আগুনের তীব্রতায় গৃহকর্তা গণেশের ঘুম ভেঙে যায়। তাঁরাই দোতলার বাথরুম থেকে বালতি ভরে জল এনে ঢালতে শুরু করে। তাঁদের সপরিবারে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেই এই ঘটনা ঘটানো হয় বলে অভিযোগ গণেশ এবং তাঁর স্ত্রীর। তবে বিকেল পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি থানায়।
গণেশ পেশায় একজন সোনার কারিগর। তিনি ভিন রাজ্যে থাকেন। সম্প্রতি জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বাড়ি এসেছেন। দোতলা বাড়িতে থাকেন স্ত্রী, দুই শিশু সন্তান এবং মা। বুধবারই শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁরা ফিরেছেন বলে দাবি গণেশের। তারপর রাতেই এই ঘটনা। গণেশের অভিযোগ, ‘রাত্রি ২টো নাগাদ হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। দেখি, একতলার ডাইনিং রুম দাউ দাউ করে জ্বলছে। বাড়ির দোতলায় শুয়েছিলাম আমরা। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কোনও ভাবেই নিচে নেমে আসতে পারিনি আমরা। বাঁচতে বাথরুম থেকে বালতি ভরে জল এনে আমরাই আগুন নেভাতে শুরু করি।’
গণেশের স্ত্রীর দাবি, স্বামী বাইরে থাকেন। শাশুড়ি, সন্তান নিয়ে তিনি একাই থাকেন বাড়িতে। এ রকম ঘটনায় আতঙ্কিত তিনি। তাঁর দাবি, সবাইকে একসঙ্গে পুড়িয়ে মারার জন্যই বুধবার রাতে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। কিন্তু কারও নামে লিখিত অভিযোগ জানায়নি পণ্ডিত পরিবার।
তবে, এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা অবধি ওই পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের না করায় বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তদন্তে আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। কোনও ভাবে আগুন লেগেছে নাকি ইচ্ছাকৃত কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।