বাড়ি থেকে উদ্ধার স্বামী-স্ত্রীর নিথর দেহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থানার রমনীমোহন মাইতি গ্রামপঞ্চায়েতের কাউকুণ্ডু এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃতদের নাম মোহন হাজরা (৭০) ও লক্ষ্মী হাজরা (৬৫)। সূত্রের খবর, তাঁরা দু’জনই থাকতেন। এ দিন বাড়ি থেকে কোনও আওয়াজ না পেয়ে খোঁজ নেন প্রতিবেশীরা। দেখেন বাড়ির মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন লক্ষ্মী। পাশেই মোহনের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে মহিষাদলের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মহিষাদল থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে দম্পতি থাকতেন। তাঁদের এক ছেলে ছিল, ৫ বছর বয়সে মারা গিয়েছে। বয়স্ক দম্পতি সকলের সঙ্গে মিলেমিশেই থাকতেন। এ দিন দুপুর গড়ালেও তাঁদের কোনও সাড়া না পেয়ে খোঁজ নিতে আসেন প্রতিবেশীরা। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এর পরই তাঁরা বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই তাঁরা দেখেন ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন লক্ষ্মী, পাশে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন মোহন।
পুলিশ সূত্রের খবর, এর পরই স্থানীয়রা মহিষাদল থানায় খবর দেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে মহিষাদলের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। মহিষাদল থানার ওসি নাড়ুগোপাল বিশ্বাস বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, স্ত্রীকে খুন করে স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। আগামিকাল দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’