বোলপুরের আইসিকে কদর্য ভাষায় হুমকি দিয়ে বিপাকে অনুব্রত মণ্ডল। দলে কোণঠাসা, আইনি প্যাঁচেও পড়েছেন। তবে ‘খেলা’ ঘোরাতে অনুব্রত মণ্ডল ‘অন্য খেলা’ খেলছেন না তো? এখন সে প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে কেষ্টভূমে। অন্তত বৃহস্পতিবার দু’ঘণ্টা এসডিপিও অফিসে এবং পরের দু’ঘণ্টা নিজের পার্টি অফিসে দরজা এঁটে বসে থাকার পর বেরিয়ে এসে কেষ্ট মণ্ডল যা বললেন, তাতে হিসাব কিন্তু খুব সহজ বলে মনে হচ্ছে না।
আইসি লিটন হালদারকে ফোনে কুকথা বলার অভিযোগে তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক। গত ২৭ মে আইসিকে হুমকি, ২৯ মে সেই অডিয়ো ভাইরাল হওয়া এবং ৩১ মে ও ১ জুন, পর পর দু’দিন এসডিপিও অফিসে অনুব্রতকে তলব এবং অসুস্থ বলে তা এড়িয়ে যাওয়া— এই অবধি এক রকম ছিল।
কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকাই অনুব্রত এসডিপিও অফিসে হাজির হন। প্রায় দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। যদিও সেখান থেকে বেরিয়ে একটি শব্দ খরচ করেননি কেষ্ট। সোজা চলে যান বোলপুরে পার্টি অফিসে। লিফ্টে করে উঠে পড়েন দোতলায়। সেই থেকে পরের দু’ঘণ্টা একেবারে দরজা এঁটে সেখানে বসেছিলেন কেষ্ট। কী চলেছে ভিতরে, কেউ জানে না।
তবে কেষ্ট যখন পার্টি অফিসের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসেন, বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল তাঁকে। এসডিপিও অফিসে যে সাংবাদিকদের দিকে চোখ তুলেই তাকাননি, পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে, কাচ টেনে দিয়েও নিজেই নামালেন সেই কাচ। বললেন, ‘আমি দু’দিন দেখি। তার পর বলব। আগে চালচলন দেখি...।’
ব্যস, কেষ্ট মণ্ডল নতুন করে হাওয়ায় ছুড়ে দিলেন প্রশ্নমালা। কার চালচলন দেখার কথা বললেন তিনি? পুলিশ নাকি নির্দিষ্ট করে কারও উদ্দেশে এই কথা বললেন? নাকি দলেরই কারও দিকে ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন তিনি? তবে তাঁর এই দু’লাইনের বক্তব্যে গভীর কোনও বার্তাই যে এ দিন কেষ্ট দিতে চাইলেন, তেমনটাই বলছেন, তাঁর ঘনিষ্ঠরা।