• ফের নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারি দিলেন চাকরিহারারা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৬ জুন ২০২৫
  • ফের নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারি দিল পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ। তাঁদের অভিযোগ, ‘কথা রাখেনি সরকার’। সেজন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব প্রশাসনের শীর্ষব্যক্তিদের চিঠি দিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এই আন্দোলনের জেরে শহরে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার জন্য প্রশাসনই দায়ী থাকবে বলে সরকারকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

    যদিও কবে এই নবান্ন অভিযান হবে, সে বিষয়ে সময়সীমা বা দিনক্ষণ জানাননি আন্দোলনকারী চাকরিহারারা। তবে তাঁদের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে দেওয়া চিঠিতে রয়েছে তীব্র প্রতিবাদের ঝাঁঝ। চিঠিতে রাজ্য প্রশাসনকে কটাক্ষ করে চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চের তরফে লেখা হয়েছে, ‘ন্যাড়া বেলতলায় ক’বার যায়? একবার। কিন্তু আমরা দু’বার গেছি। আর নয়। স্বয়ং ভগবান হলেও এই পরিস্থিতিতে সাড়া দিতেন, কিন্তু সরকার সাড়া দিচ্ছে না।’

    চিঠিতে আন্দোলনকারীদের হুঙ্কার, ‘আগামী কর্মসূচিতে পুলিশের গুলি খেতে প্রস্তুত এবং দুর্নীতি পরায়ণ সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে যদি প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়, তাতেও রাজি’।

    প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সরকার চায় না সমস্যার সমাধান করতে। তাই আমাদের বারে বারে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকানো হয়েছে। তাই এবার আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথেই হাঁটব।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সরকার চায় না সমস্যার সমাধান করতে। তাই আমাদের বারে বারে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকানো হয়েছে। তাই এবার আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথেই হাঁটব।’

    পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক আশিস খামরই বলেন, ‘ধর্মতলায় ধর্ণামঞ্চে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের দিনসংখ্যা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। এক হাজার দিনের বেশি সময় ধরে আন্দোলন চলছে অথচ সরকার আমাদের সমস্যার বিষয়ে কর্ণপাতও করছে না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সাথে সাক্ষাতের মাধ্যমে সমাধান করুক। এই দাবিতেই এবার নবান্ন অভিযান করা হবে।’

    উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২১ এপ্রিল ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। যদিও তার ঠিক আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধিদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করা হয়। হাওড়ার শিবপুর থানা, লালবাজার ও ভবানী ভবনে ডাকা হয় এবং সেখানে ১৬ ও ১৮ এপ্রিল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকরা দফায় দফায় বৈঠক করেন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)