• স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, জানতে পেরেই বন্ধুকে...হাড়হিম কাণ্ড ময়নাগুড়িতে!
    ২৪ ঘন্টা | ০৬ জুন ২০২৫
  • প্রদ্যুত্‍ দাস: ত্রিকোণ প্রেম নাকি পরকীয়া? বন্ধুর বাড়ি মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল যুবকের দেহ! বাড়ির মালিক ও তাঁর স্ত্রী পলাতক। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়িতে।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ময়নাগুড়ির ব্রহ্মপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা পরিমল রায়, আর ব্রহ্মপুর লাগোয়া পাঠানেরডাঙ্গায় থাকেন গৌতম রায়। দু'জনে ছোটবেলার বন্ধু। পরিমলের বাড়ির কলপাড়ের মাটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে গৌতমের দেহ। কবে? গতকাল বুধবার। পুলিস সূত্রে খবর, দেহে একাধিক আঘাতে চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, গৌতমকে খুন মাটিকে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।

    এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক পরিমল ও তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পরিমল ও গৌতম একসঙ্গে অসমে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সেই সুবাদেই পরিমলের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল গৌতমের। পরিমলের স্ত্রীর সঙ্গে তিনি পরকীয়া সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ।

    জানা গিয়েছে, গত রবিবার অসম থেকে একসঙ্গে ময়নাগুড়িতে ফেরেন গৌতম ও পরিমল। গৌতমের বাবা দীপেন রায় বলেন, 'মঙ্গলবার রাত এগারোটা নাগাদ পরিমল ফোন করে গৌতমকে ওর বাড়িতে ডেকে পাঠায়। এর আগে গৌতমের থেকে পরিমল টাকা ধার নিয়েছিল। আমার ছেলেকে খুন করে নিজের বাড়ির মাটিতে পুঁতে রেখে পালিয়েছে পরিমল'।  বুধবার সকালে পরিমলদের বাড়ির পাশে একটি মোটর সাইকেল পড়ে থাকতে দেখেন সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। থানায় খবর দেন তাঁরা। দেহটি শনাক্ত করেছেন মৃতের দাদা।

    পরিমলের বাড়ি থেকেই কিছুটা দূরেই থাকেন তাঁর মা। জেরার মুখে তিনি স্বীকার করেছেন, ছেলে একজনকে খুন করেছে এবং তাই স্বামী-স্ত্রী পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই নৃশংস খুন? তা স্পষ্ট নয়। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)