• দাম্পত্য কলহে জেরবার, ঘরে উদ্ধার যুবকের দেহ, স্ত্রী-শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ
    প্রতিদিন | ০৬ জুন ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: ঘর থেকে উদ্ধার যুবকের ঝুলন্ত দেহ। স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলল মৃতের পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে বীজপুর থানার অন্তর্গত কাঁচরাপাড়া শরৎপল্লি এলাকায়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    মৃত যুবকের নাম সুমিত মুখোপাধ্যায়। বয়স ৩১ বছর। তিনি কাঁচরাপাড়া শরৎপল্লি এলাকার বাসিন্দা। প্রায় দেড় বছর আগে প্রেম করে স্নেহা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই দম্পতির মধ্যে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বিবাদ লেগেই থাকত। এক সময় থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল তাদের দাম্পত্য কলহ। বুধবার সন্ধ্যায়ও স্নেহা ও সুমিতের মধ্যে চরম বিবাদ বাদে। এই খবর পেয়ে স্নেহার শ্বশুরবাড়িতে আসেন তাঁর মা-বাবা। অভিযোগ, তখন স্ত্রী ও তাঁর বাবা-মা মিলে মারধর করেন সুমিতকে। পুলিশের কাছেও ঘটনাটি জানানো হয়। তারপর সকলে মিলে থানায় যাওয়ার পর মিটমাটও হয়ে যায়। কিন্তু বাড়ি ফিরেই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। সুমিত নিজের ঘরে ঢুকে দীর্ঘক্ষণ না বেরনোই সন্দেহ হয় সকলের। এরপরই থানায় জানিয়ে সকলের উপস্থিতিতে দরজা খুলে উদ্ধার হয় সুমিতের ঝুলন্ত দেহ। তড়িঘড়ি তাঁকে কল্যাণী জেএনএন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসা মৃত বলে ঘোষণা করে।

    এরপরই বীজপুর থানায় মৃতের স্ত্রী ও তাঁর মা-বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের মা মাধবী মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, কিছু সমস্যা হলেই স্নেহা তার মা-বাবাকে ফোন করে ডাকতেন। শ্বশুর শাশুড়ি সুমিতের উপর মানসিক অত্যাচার চালাতেন। তিনি বলেন, “ছেলের রোজগার কম ছিল বলে ওর (স্নেহা) বাবা-মা চাইত মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেবে। ঘটনার দিনও ওঁদের মধ্যে চরম অশান্তি হয়েছিল। এই খবর পেয়ে মেয়ের বাবা মা এসে তিনজন মিলে ছেলেকে মারধর করেছে। মুখ ফাটিয়ে দিয়েছিল। তবুও আমরা চেয়েছিলাম মিটমাট হয়ে যাক। ছেলে ওদের পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমাও চেয়েছিল।” তিনি আরও বলেন,”বউমা ও ওঁর মা-বাবার জন্য ছেলে হারালাম। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। দোষীরা চরম শাস্তি পাক।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)