• রামকৃষ্ণ মিশনের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে রাস্তা, আলোর ব্যবস্থা করলেন নীহার
    বর্তমান | ০৬ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: প্রায় ৭০  বছর আগে ইংলিশবাজার ব্লকের অমৃতিতে গড়ে ওঠে মালদহ রামকৃষ্ণ মিশনের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। আশপাশের এলাকার বাচ্চাদের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ক্যাম্পাসেই করা হয়েছিল একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়-রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গত সাত বছরে রামকৃষ্ণ মিশনের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস এবং রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের আমুল পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে সরকার পোষিত এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নে এগিয়ে এসেছেন বহু মানুষ। নিজের বিধানসভা এলাকার বাইরে হলেও বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য করেছেন চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। 

    মালদহ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ত্যাগরূপানন্দজী মহারাজ বলেন, আট বছর আগে যখন প্রথম এখানে আসি, এখানকার লোকেরা স্কুলের নামের প্রথম অংশটা মনে রাখতেন না। রামকৃষ্ণ মিশনই জানতেন না তাঁরা। এটা বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ নামে একটা প্রাথমিক স্কুল হিসেবেই পরিচিত ছিল তাঁদের কাছে। সকলের সাহায্য নিয়ে আমাদের প্রথম কাজ হল গেটটাকে রং করে বড় বড় করে লিখে দেওয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ। 

    বৃহস্পতিবার মালদহ রামকৃষ্ণ মিশনের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ভিতর স্কুলে যাতায়াতের জন্য পাকা রাস্তার উদ্বোধন করেন বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, স্বামী ত্যাগরূপানন্দজী মহারাজ। 

    ত্যাগরুপানন্দজী আরও বলেন, ধীরে ধীরে স্কুলের অনেক কাজ হয়েছে।  নীহারবাবু আমাদের অনুরোধ রেখে ৬ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা অনুমোদন করেছেন। যা দিয়ে মেইন গেট থেকে ক্যাম্পাসের অনেকখানি ভিতর পর্যন্ত পাকা রাস্তা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে ১০টি সৌর বাতিস্তম্ভ বসানো হয়। যা স্কুলের উন্নয়নে সাম্প্রতিক সংযোজন। বিশেষ করে উল্লেখ করতে চাই, নীহারবাবু আমাদের জন্য নিজের এলাকার বাইরে এসে সাহায্য করেছেন। 

    বিধায়কের কথায়, আমি চাঁচলের বিধায়ক। কিন্তু নিয়মে বলা আছে, একজন বিধায়ক নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের বাইরেও এলাকা উন্নয়ন তহবিলের ১০ শতাংশ টাকা খরচ করতে পারেন। সেই নিয়ম মেনেই রামকৃষ্ণ মিশনের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য প্রায় সাত লক্ষ টাকা সাহায্য করতে পেরেছি। এখানে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সরকারি সাহায্যে এই প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে।

    রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠে বর্তমানে ৬৩ জন ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করছে। সরকারি নিয়ম মেনে তাদের নিয়মিত মিড ডে মিলেরও ব্যবস্থা করা হয়।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)