• টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ এমজেএনে, তদন্ত কমিটি গঠন করলেন প্রিন্সিপাল
    বর্তমান | ০৬ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: ফের শিরোনামে উঠে এল কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজের নাম। এবার মেডিক্যাল কলেজেরই এক ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুই ছাত্রী দ্বারস্থ হন প্রিন্সিপালের। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই প্রিন্সিপাল ডাঃ নির্মালকুমার মণ্ডল ঘটনার তদন্ত করার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন । 

    ওই টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে ছাত্রীর হাত ধরা, চড় মারার অভিযোগ উঠেছে। বেশকিছু দিন ধরেই ওই টেকনিশিয়ান ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করছিলেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে ল্যাবরেটরিতে কাজ করছিলেন ছাত্রীরা। সেই সময় অভিযুক্ত টেকনিশিয়ান প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর হাত ধরে টানেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর ডিপ্লোমা ইন ল্যাব টেকনোলজিস্টের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি  হয়। এরপরেই কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন দুই ছাত্রী। সেখানে ওই টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে ছাত্রীর হাত ধরা, চড় মারার কথা উল্লেখ করা হয়। এদিকে, ঘটনার কথা জানতে পেরে মেডিক্যাল কলেজে চলে আসেন এক ছাত্রীর মামা। তিনিও প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করেন। 

    অভিযোগকারিণী এক ছাত্রীর মামা বলেন, আমার ভাগ্নি এমজেএনে পড়াশোনা করে। এক টেকনিশিয়ান ছাত্রীর গায়ে হাত দেন। অভিযোগ করতে গেলে ওই টেকনিশায়ান চড় মারেন। ভাগ্নি কাঁদতে কাঁদতে বিষয়টি জানালে আমি মেডিক্যালে আসি। পড়তে এসে যদি এমন হয়, সেটা মানা যায় না। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত। বাবা-মা অনেক আশা করে এখানে সন্তানদের পড়তে পাঠান। সেখানে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে কী করে চলে? আমরা মহিলা থানায় যাব। 

    ছাত্রী অভিযোগ করেন, ওই টেকনিশিয়ান মাঝেমধ্যেই আমার হাত ধরে কথা বলতে চান। আমি বিরক্ত প্রকাশ করি। এদিনও আমাকে উনি হাত ধরতে চান। আমি হাত সরিয়ে নিই। চড় মারেন। ভয় দেখান। লিখিত অভিযোগ প্রিন্সিপালের কাছে করেছি। 

    কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল বলেন, সেন্ট্রাল ল্যাবের এক টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে ছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠেছে। ওই টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে এর আগেও ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ছিল। তবে এরকম অভিযোগ কিন্তু এবারই প্রথম। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারজনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই এমন জায়গায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। পুরো বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনকে জানানো হবে। যে জায়গায় ঘটনা ঘটেছে সেই জায়গার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও অভিযুক্ত টেকনিশিয়ানকে এদিন একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও কল যায়নি। মেসেজ পাঠানো হলেও উত্তর আসেনি।  মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রী। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)