সংবাদদাতা, মানকর: দামোদরে তলিয়ে তিন কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় কাঁকসা-২ নম্বর কলোনি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বুধবার বুদবুদের রণডিহাতে দামোদর নদে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় তিন কিশোর। প্রত্যেকের বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। খবর পেয়ে বুদবুদ থানার পুলিস ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের দল উদ্ধার কাজ শুরু করেন। বুধবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হয় জিতু অধিকারী নামে এক কিশোরের দেহ। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ফের উদ্ধার কাজ শুরু হয়। এদিন সকাল ৭টার দিকে অভিজিৎ গায়েন ও ১২টার পর সুরজিৎ বিশ্বাসের দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, বুধবার কাঁকসার দু’নম্বর কলোনি এলাকা থেকে আট বন্ধু রণডিহায় দামোদরের পাড়ে আসে। সাতজন দামোদরে স্নান করতে নামে। তার মধ্যে তিনজন জলে তলিয়ে যায়। মৃতদের মধ্যে অভিজিৎ গায়েন মানকর আইটিআই কলেজের ছাত্র ছিল। তার মা শিল্পী গায়েন বলেন, আমার ছেলে বলেছিল গোপালপুরে যাবে। কিন্তু, রণডিহায় যাবে জানতাম না। তাহলে ওকে যেতে দিতাম না। অভিজিতের বাবা গোপাল গায়েন রান্নার কাজ করেন। ছেলের মৃত্যুতে শোকে পাথর গায়েন দম্পতি। একই অবস্থা জিতু ও সুরজিতের বাড়িতেও। জিতুর ও সুরজিতের বাবা ভিন রাজ্যে কাজ করেন। একই পাড়ার তিন কিশোরের মৃত্যুতে গোটা এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে। এদিন ওই পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, অনেকের বাড়িতে ভাতের হাঁড়ি চড়েনি প্রতিবেশীরা বলেন সান্ত্বনা দেওয়ার কোনও ভাষা নেই। স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিমা মজুমদার বলেন, তিনটে প্রাণ চলে গেল। ডাক দিলেই ওদের পাওয়া যেত। এই কষ্ট বলে বোঝাতে পারব না। স্থানীয়রা জানান, এখান থেকে শীতে অনেকেই রণডিহায় পিকনিক করতে যায়। অন্য সময়েও অনেকে ঘুরতে যায়। গতকালের ঘটনার পর থেকেই আমাদের খাওয়া ঘুম নেই।