পুজোর আগেই জঙ্গিপুর শহরে ঘরে ঘরে পরিস্রুত পানীয় জল
বর্তমান | ০৬ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: পুজোর আগেই জঙ্গিপুরবাসীকে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেবে পুরসভা। দ্বিতীয় দফায় শহরে ১৫ হাজার জলের নতুন সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার উপকৃত হবে। মিটবে পানীয় জলের সমস্যাও। তেমনটাই দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। আরও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের পাইপলাইনের কাজ চলছে। কয়েকটি ওয়ার্ড ছাড়া শহরের অধিকাংশ এলাকায় জল পৌঁছয় না বলে শহরবাসীর দাবি। পানীয় জল না পেয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন শহরবাসী। পুরসভাকে একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এলাকার অধিকাংশ টিউবওয়েল অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অনেকে জল কিনে পান করতে বাধ্য হচ্ছেন। শীঘ্রই জলের সমস্যা মিটে যাবে। অম্রুত প্রকল্পের অধীনে জল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ প্রায় সম্পন্ন বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি।
এ প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম বলেন, প্রথম দফায় ১৯ হাজার ও দ্বিতীয় দফায় ১৫ হাজার জলের কানেকশন দেওয়া হয়েছে। এখন পরীক্ষামূলকভাবে জল দেওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই নিয়মিত জল পরিষেবা চালু হবে।
জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুর পুরসভার ২১টি ওয়ার্ডের সর্বত্রই পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছয় না। তার মধ্যে ১, ৮, ৪, ৫, ১৩, ১৩ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েক বছর ধরে জল পৌঁছয় না। জল পৌঁছনোর পুরনো সিস্টেমটি অকেজো হয়ে পড়ায় এই উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জল যাওয়ার পাইপগুলো বহু পুরনো হওয়ার ফলে কাজ করছে না। অনেক স্থানে জলের পাইপ ভেঙে গিয়েছে, শ্যাওলা জমে পাইপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে এলাকায় ঠিকমতো জল আসছে না। যদিও ৩,১০,১১, ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডগুলি জল আসে বলে জানা গিয়েছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহাবীরতলার বাসিন্দা পলি দাস বলেন, বাড়িতে অসুস্থ রোগী রয়েছে। জল না আসায় খুব সমস্যায় পড়েছি। এত জল কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দিতেই আম্রুত প্রকল্পের অধীনে বিগত বছর প্রায় তিনেক থেকে কাজ চলছে। প্রথম পর্বে শহর এলাকায় ১৯ হাজার ও পরের দফার ১৫ হাজার সহ সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার জলের কানেকশন দেওয়া হয়েছে। শহরের প্রতিটি বাড়িতে জলের মিটার সহ ট্যাপ কল লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও পরিবার পিছু দিনে কত লিটার জল দেওয়া হবে, তা এখন স্পষ্ট করে জানায়নি পুর কর্তৃপক্ষ।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, জলের জন্য আলাদা করে কোন চার্জ নেওয়া হবে না। ভাইস চেয়ারম্যান সন্তোষ চৌধুরী বলেন, পাশাপাশি জলের এটিএম পরিষেবা চালু করা হয়েছে। সেখানে ঠান্ডা ও নর্মাল জল পাওয়া যায়। ২ ও ৫ টাকার কয়েন দিয়ে ১ থেকে ২০ লিটার জল সংগ্রহ করা যাবে।