• ইদের ছুটিতে ১০ দিন বন্ধ বাণিজ্য, ক্ষোভ দুই সীমান্তের ব্যবসায়ীদের
    এই সময় | ০৬ জুন ২০২৫
  • এই সময়, পেট্রাপোল: আগামী শনিবার ইদ। সাধারণত ইদ উপলক্ষে প্রতি বছরই চার দিন বন্ধ থাকে পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। কিন্তু এ বার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের জমানায় টানা ১০ দিন বন্ধ থাকছে দুই দেশের বাণিজ্য।

    ৫ জুন থেকে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ থাকবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত। একটানা ১০ দিন ধরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বন্ধ থাকলে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলেই দাবি আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা।

    এই ১০ দিন বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের যাত্রী পারাপার অবশ্য চালু থাকছে। তবুও ইদের ছুটিতে যাত্রীদের যাতায়াত অনেকটাই কম হবে বলেই ধারণা।

    প্রতি বছরেই ইদ উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতীয় ছুটি ঘোষণা হয়। অন্যান্যবার ছুটি থাকে চার দিন। সাপ্তাহিক ছুটি ধরলে সেটা আরও দুই এক দিন বেড়ে যায়। কিন্তু এ বারেই প্রথম ইদ উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটিতে বন্ধ থাকছে দুই দেশের বাণিজ্য।

    প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৪৫০ পণ্যবাহী ট্রাক পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশে। আমদানি হয় প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ পণ্যবাহী ট্রাকের পণ্য। বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়।

    কিন্তু ইদে এই প্রথমবার ১০ দিনের ছুটিতে এত দীর্ঘ সময় বাণিজ্য বন্ধ থাকছে পেট্রাপোল বন্দরে। ফলে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলেই দাবি দুই দেশের বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী, শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের।

    পেট্রাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ ইদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষকে।

    এই প্রসঙ্গে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের শুল্ক দপ্তরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘ইদে বাংলাদেশে জাতীয় ছুটি থাকে। প্রতি বছর চার দিন ছুটি থাকে।

    কিন্তু এ বছরই প্রথম টানা ১০ দিন ছুটি থাকছে।’ পেট্রাপোল শুল্ক দপ্তরের ডেপুটি কমিশনার দিব্যেন্দু দাস বলেন, ‘বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ ইদ উপলক্ষে লিখিতভাবে টানা ১০ দিন ছুটি থাকবে বলেই জানিয়েছে। ফলে ১০ দিন দুই দেশের বাণিজ্য বন্ধ থাকবে।’

    দুই দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ী পল্লব মিত্র বলেন, ‘ইদে টানা ১০ দিন ছুটি থাকলে ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হবে। ভারতের বিরোধিতা করার জন্যই টানা ১০ দিন বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশের সরকার। মহম্মদ বিন তুঘলকি শাসন চলছে সে দেশে। ১০ দিন বাণিজ্য বন্ধ থাকলে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে ঘাটতি হবে। সেটার জন্যই এটা করা হয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)