• মেমারি থানা পেল হুমায়ুনকে, ২৪ ঘণ্টা নজর ১২ পুলিশের
    এই সময় | ০৬ জুন ২০২৫
  • এই সময়, বর্ধমান: এ বার মেমারি থানায় জেরা চলবে মা-বাবাকে নৃশংস ভাবে খুনে অভিযুক্ত ছেলে হুমায়ুন কবীরের। বৃহস্পতিবার বর্ধমান সিজেএম আদালত তাকে সাত দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।

    উত্তর ২৪ পরগনার সংশোধনাগার থেকে এ দিনই তাকে আইনি পরিভাষায় শোন অ্যারেস্টে বর্ধমানে নিয়ে আসা হয়। সোজা ওই আদালতে তাকে হাজির করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় মেমারি থানার পুলিশ।

    আদালত তা মঞ্জুর করেছে। মেমারি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ জন পুলিশকর্মীকে সর্বক্ষণের জন্য হুমায়ুনের উপরে নজরদারির দায়িত্বে রাখা হয়েছে। তাঁদের দু’জন নজরদারিতে থাকবেন লকআপে।

    এ দিন বনগাঁ থেকে আদালতে নিয়ে আসার সময়ে হুমায়ুনের পরনে ছিল নস্যি রংয়ের জামা ও জিন্স। ডান কাঁধে ছিল চাদর। প্রিজ়ন ভ্যান থেকে নামার আগে মুখে কাপড়ের মাস্ক পরে নেয় নিজেই।

    ‘মা–বাবাকে মারলেন কেন?’ প্রিজ়ন ভ্যান থেকে নামতেই প্রশ্ন ধেয়ে যায় তার দিকে। ‘দোষ করেছিল মা-বাবা’, একেবারেই নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে ওই জবাব দিয়ে আদালতে ঢুকে যায় সে।

    সূত্রের খবর, আদালতে নিয়ে আসার সময়ে পুলিশকে সে বলেছে, ‘আল্লার আদালতেও বিচার হচ্ছে। সেখানে কে দোষী আর নির্দোষ তার বিচার হয়ে আছে। আমি আল্লার বার্তাই দিতে চেয়েছি। যারা শোনেনি, তারা কাফের।’

    গত সপ্তাহের বুধবার মেমারির পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মোড় কাজিপাড়ায় মা মমতাজ পারভিন ও বাবা মুস্তাফিজ়ুল রহমানকে গলা কেটে খুন করে বাড়ির সামনের রাস্তায় তাঁদের দেহ ফেলে পালায় হুমায়ুন।

    সেই দিনই রাতে বনগাঁর একটি মাদ্রাসায় গিয়ে হামলা চালিয়ে চার জনকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে সে। ওই হামলার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করে বনগাঁ থানার পুলিশ। বনগাঁর আদালত তাকে প্রথমে পাঠায় পুলিশ হেফাজতে ও তার পরে দমদমের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।

    মেমারিতে খুনের ঘটনাতেও হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়ে সেখান থেকেই আদালতের নির্দেশে তাকে বৃহস্পতিবার বর্ধমানে নিয়ে আসে মেমারি থানার পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)