এই সময়, ডায়মন্ড হারবার: রায়চক থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের কুঁকড়াহাটি পর্যন্ত নদীপথে ‘রোরো জেটি’ চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর। যার ফলে সহজেই গাড়ি-সহ যাত্রীরা নদী পারাপার করতে পারবেন।
রোরো চালু হলে কলকাতা থেকে গাড়িতে চেপে সরাসরি বার্জে করে গাড়ি পার করে হলদিয়া এবং দিঘায় পৌঁছনোর ক্ষেত্রে আর কোনও বাধাই থাকবে না। বৃহস্পতিবার রায়চকে আসেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
সেখানেই রোরো জেটি চালু করার বিষয়টি নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ ও উপস্থিত আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়। পরে নির্মীয়মাণ জেটি তৈরির কাজ খতিয়ে দেখতে জলপথে কুঁকড়াহাটি রওনা দেন তিনি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবার ও পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে হুগলি নদী। এতদিন এ প্রান্তের সঙ্গে অপর প্রান্তের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল ফেরি সার্ভিস।
ডায়মন্ড হারবার এবং রায়চক থেকে পৃথক দু’টি ফেরি চালু রয়েছে কুঁকড়াহাটি জেটিঘাটে। কিন্তু কুঁকড়াহাটিতে মাত্র একটি পন্টুন জেটি থাকায় একসঙ্গে ডায়মন্ড হারবার এবং রায়চকে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ভেসেল এবং লঞ্চে ওঠানামার ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এই ফেরিগুলিতে প্রত্যেকদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার করেন।
সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে গত লোকসভা নির্বাচনের আগে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাত্রী পরিষেবাকে মসৃণ করার লক্ষ্যে পরিবহণ দপ্তরকে কুঁকড়াহাটিতে আরও একটি জেটি নির্মাণের অনুরোধ করেছিলেন।
তারই ফলশ্রুতি হিসেবে কুঁকড়াহাটিতে গড়ে উঠছে একটি টার্মিনাল জেটি। যেখানে নানা ধরনের পরিষেবা যুক্ত থাকবে। মন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এই জেটি তৈরি করা হচ্ছে। আশা করি যাতায়াত অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।’
এই কাজের পাশাপাশি পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে নতুন ভাবে রোরো জেটি চালু করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার জন্য জায়গা চিহ্নিত করা এবং পরিকাঠামো তৈরি–সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়।
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ প্রতিনিধি শামিম আহমেদ বলেন, ‘সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন জেটি তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন। কুঁকড়াহাটিতে নতুন জেটি তৈরির কাজ চলছে। রোরো পরিষেবাও চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’