• খাসির আসল মালিকের খোঁজ পেল পুলিশ, ছাগল বেপাত্তাই
    এই সময় | ০৬ জুন ২০২৫
  • এই সময়, মালবাজার: চুরি যাওয়া খাসির মালিকের খোঁজ পেল পুলিশ, তাঁর হাতে ফিরিয়েও দেওয়া হলো চোরেদের হাত থেকে উদ্ধার করা সেই খাসিকে, তবে চুরি যাওয়া ছাগলের হদিশ এখনও পর্যন্ত মিলল না।

    অর্থাৎ, ছাগল চুরির যে অভিযোগের তদন্তে নেমে মালবাজার থানার পুলিশ বুধবার পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো দুই সন্দেহভাজন চোর-সহ চোরাই খাসির সন্ধান পেয়েছিল, সে বিষয়ের নিষ্পত্তি এখনও হলো না।

    মালবাজার পুর এলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মঞ্জু দেবী দাসের পোষা ছাগলের রং কালো, উদ্ধার হওয়া খাসিটিও কালো। তার জন্য পুলিশ প্রথমে ভেবেছিল, ওটা মঞ্জুরই ছাগল। তবে বুধবার থানায় গিয়ে ওই মহিলা জানিয়ে দেন, কালো হলেও ওটা তার পোষ্য নয়— তার পোষ্য ছিল ছাগল, পোয়াতি ছাগল আর পুলিশ যেটা দেখাচ্ছে, সেটা খাসি।

    তার পর বুধবার রাত ১০টা নাগাদ মালবাজারের কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সেনপাড়া গ্রামের আতিশ ওরাওঁ নামে এক ব্যক্তি মালবাজার থানায় যান তাঁর হারানো খাসির সন্ধানে। আতিশের পোষ্যর বর্ণনার সঙ্গে থানার মধ্যে বেঁধে রাখা খাসিটির চেহারা–ছবি হুবহু মিলেও যায়। শেষমেশ রাত ১১টা বাজার কিছুটা পরে ওই ব্যক্তিকে তাঁর খাসি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

    আতিশ বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমার এই পোষা খাসি চুরি গিয়েছিল। একটা কালো খাসি পাওয়া গিয়েছে, দু’জন ধরা পড়েছে জেনে আমি এসেছিলাম।’ ওই ব্যক্তি স্বভাবতই খুব খুশি পোষ্যকে ফিরে পেয়ে। পুলিশের খুশিও কম নয়।

    থানার মধ্যে এক কোণে খাসিকে বেঁধে রাখা, তাকে চোখে–চোখে রাখা, ঘাস–পাতা খাওয়ানো— এ সব নিয়ে পুলিশ কয়েক ঘণ্টাতেই হিমশিম খেয়েছে। সেই খাসিকে মালিকের হাতে দিতে পেরে যেন হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন মালবাজার থানার পুলিশকর্মী ও অফিসাররা।

    ওই খাসিটিকে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সন্তলাল ওরাওঁ এবং তরুণ রায়কে বৃহস্পতিবার আদালত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

    তবে নিজের পোষ্য, পোয়াতি ছাগল হারানো মঞ্জু দেবীর দাসের শোক কমছে না। তাঁর স্বামী বিজয় দাস এ দিনও মালবাজার থানায় খোঁজ নিতে যান। পুলিশ সূত্রের খবর, বিজয় দাসকে মালবাজার থানার এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘আপনাদের ছাগল খুঁজে দিতে আমরা চেষ্টার ত্রুটি রাখছি না। বাড়িতে ফিরে গিয়ে সেটা আপনার স্ত্রীকে বোঝান, বার বার থানায় আসবেন না। কোনও খবর হলে আমরা নিশ্চয়ই জানাব।’

    নিজের পোষা খাসি ফেরত পাওয়া, কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সেনপাড়ার আতিশ ওরাওঁ বলছেন, ‘শুনেছি, মালবাজারের এক সৎ দম্পতিকে আমার খাসিটা পুলিশ দেখালেও তাঁরা সত্যিটা বলেছেন। ওঁরা যাতে নিজেদের পোষা ছাগল ফিরে পান, তার জন্য প্রার্থনা করি।’

  • Link to this news (এই সময়)