• 'আগে চালচলন দেখি...' অনুব্রত নিজস্ব স্টাইলেই 'ডোন্ট কেয়ার' মুডে
    আজ তক | ০৬ জুন ২০২৫
  • সবই কেষ্টর মর্জি! পুলিশ অফিসারকে গালিগালাজ করার অডিও নিয়ে যতই তোলপাড়, সমালোচনা হোক, অনুব্রত মণ্ডল নিজস্ব স্টাইলেই চালিয়ে খেলে চলেছেন। বৃহস্পতিবার এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিলেন বীরভূমের কেষ্ট সটান বললেন, 'আগে চালচলন দেখি তারপর বলব।'

    বোলপুর থানার আইসি-কে ফোন করে কী বলা হয়েছিল, কবে বলা হয়েছিল, কেন বলা হয়েছিল—এসব এখন হইচইয়ের বিষয়। টিভির স্ক্রলে কেস নম্বর, ধারা নম্বর, হুমকির অডিয়ো, কিচকিচে চ্যানেল ডিসকাশন—সবই চলছে। কিন্তু যার নাম ঘিরে এত কিছু, সেই অনুব্রত মণ্ডল? তিনি নিজের ছন্দে আছেন। বরাবরের মতো।

    অনুব্রত জল মাপছেন?

    হুমকির মামলায় পুলিশের ডাক? খুব একটা গুরুত্ব দেওয়ার মতো কিছু নয় বলেই যেন মনে করলেন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। সাতদিন পর বৃহস্পতিবার একটু সময় বের করে হাজিরা দিয়েছিলেন বোলপুরের SDPO অফিসে। পাছে কেউ মনে করে, উনি ভয় পেয়েছেন! তাই পৌঁছেই জানান দিলেন, 'দু দিন যাক। আগে চালচলন দেখি, তারপর বলব।' মানে ব্যাপারটা এমন, মামলা-মোকদ্দমা তো লেগেই থাকে, আগে দেখি নাটক কতদূর গড়ায়।

    মনে নেই, বলেই ঝেড়ে ফেললেন

    হুমকির ফোন? ওটা আবার কী? মনে নেই, বলেই ঝেড়ে ফেললেন। অথচ সেই ফোনেই অডিও রেকর্ডে গলা মেলানো যাচ্ছে। কিন্তু কী এসে যায় তাতে! ফোন কোথায়, কে জমা রাখল, কে নিল না, সেসব দায় নেবেন কেন? ইনভেস্টিগেট করছে পুলিশ, তদন্ত করুক। অনুব্রত মণ্ডল তদন্ত নিয়ে ভাবেন না, তদন্তই বরং অনুব্রতের চিন্তাভাবনা নিয়ে ভাবে! আর গাড়ির জানালায় সাংবাদিকেরা যখন মুখ বার করে প্রশ্ন ছুড়ছেন, 'জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কি পুলিশ?' তখনও চোখে মুখে সেই চেনা অনুব্রতীয় স্থিরতা। 

    অনুব্রত মণ্ডল মানেই কনট্রোভার্সির হট স্পট

    হুমকি দেওয়া নিয়ে শুধু নয়, অনুব্রতর নামে রয়েছে আরও কিছু গুরুতর অভিযোগ—যৌন হেনস্থা, সরকারি কর্তাকে কাজে বাধা দেওয়ার মতো ধারাও আছে। কিন্তু কেষ্টর হাবভাব দেখে তো মনে হচ্ছে, এইসব কিছুর মধ্যেও তাঁর লাঞ্চ মিস হবে না, ঘুম হবে সময় মতো, আর হালকা ঠাট্টায় পরিস্থিতি সামলে নেওয়া যাবে। রাজনীতি জানে, অনুব্রত মণ্ডল মানেই কনট্রোভার্সির হট স্পট। আর অনুব্রত নিজে জানেন, কীভাবে সেই কনট্রোভার্সিকে ঠান্ডা করতে হয়। একবার সাংবাদিককে বলেছিলেন, 'সাংবাদিকতা করো, তা করো। আমার মতো করে করো না।' 

    যাঁরা ভাবছেন অনুব্রত গলার স্বর নামিয়ে মুখ বুজে থাকবেন, তাঁরা হয়তো অনুব্রতকে ভালো করে চেনেন না। কেস হোক, কটাক্ষ হোক, কোর্ট হোক—সবকিছুর মধ্যেই তিনি আছেন তাঁর স্বাভাবিক, ‘ডোন্ট কেয়ার’ মুডে। সুতরাং, তদন্ত চলুক। ফোন খুঁজুক পুলিশ। ধারার ধাক্কায় টালমাটাল হোক রাজনীতি। অনুব্রত মণ্ডল আছেন নিজের মতোই—'দু দিন যাক, আগে চালচলন দেখি!'
  • Link to this news (আজ তক)