বজ্রপাত সহ কয়েক পশলা বৃষ্টি দেখে ভাবছেন বর্ষা ঢুকে গিয়েছে? ভুল ধারণা ভাঙলেন আবহাওয়াবিদরা। উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের এখনও ঢের দেরি। গত দু'দন ধরে কলকাতা এবং আশপাশের অঞ্চলে ঘন ধন বজ্রপাত, আচমকাই হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলছে। আর তার সঙ্গেই বজায় রয়েছে ভ্যাপসা গরম। হাওয়া অফিস বলছে এটা আদৌ বর্ষার বৃষ্টি নয়।
শুক্রবারও কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে। তবে বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম এখনই কমছে না। জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভাবে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত তৈরি করছে। কিন্তু কলকাতা ও গোটা দক্ষিণবঙ্গে যা বর্ষা নামাবে, সেই দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এখন থমকে রয়েছে। এবং সেটি অনেকটাই দুর্বল। আপাতত দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর পক্ষে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ কিছুটা কঠিন বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
আনুষ্ঠানিক ভাবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নামার তারিখ ১৫ জুন। অর্থাৎ এখনও ৮/৯ দিন বাকি। উত্তরবঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে বর্ষা প্রবেশের দিন জুনের ৮ তারিখ হলেও সেখানে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে ৯/১০ দিন আগে গত ২৯ মে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের মানুষও আশায় বুধ বাঁধছিলেন।
তবে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, দেশের পশ্চিম প্রান্তের আরব সাগর এবং পূর্ব প্রান্তের বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া দু'টি শক্তিশালী সিস্টেমের কারণে তেমনটা সম্ভব হয়েছিল। কেরলেও নির্ধারিত ৪ জুনের অনেক আগে ২৪ মে বর্ষা প্রবেশ করে ফেলেছিল। এখন গতি হারিয়ে স্তব্ধ বর্ষার মৌসুমী বায়ু। নতুন করে বঙ্গোপসাগরে কোনও ওয়েদার সিস্টেম তৈরি না-হলে মৌসুমি বাতাসের পক্ষে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করা সমস্যার। ১০ জুন নাগাদ বঙ্গোসাগরে নতুন করে একটি ওয়েদার সিস্টেম তৈরি হতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে তার হাত ধরেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নামতে পারে।