সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে উদ্যোগ, জমি হস্তান্তর শেষ করার নির্দেশ নবান্নের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ জুন ২০২৫
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর কাজ আরও দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে তৎপর হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য ৬৮০ একর জমি কেনার অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২৪ একরের বেশি জমি বিএসএফের হাতে হস্তান্তরও হয়ে গিয়েছে। তবে আরও ৩৫৬ একর জমি এখনও অধিগ্রহণ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নবান্ন থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলিকে জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহনের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের বৈঠকে সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই বৈঠকের পরই রাজ্যের তরফে জেলা স্তরে নির্দেশ দেওয়া হয় যেন অবশিষ্ট জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া বিলম্ব না হয়। প্রসঙ্গত, গোটা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মোট ১৫০৫ একর জমি এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজন। এর মধ্যে ২৬৮ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে ১৪১২ একর জমি হস্তান্তরে সবুজ সংকেত দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। কিন্তু, কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত তার অর্ধেকেরও কম জমি কেনার জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার মতো গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত মাসেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন প্রায় ২০০ একর জমি কিনে বিএসএফের হাতে তুলে দিয়েছে। আরও ১৯০ একর জমির জন্য নথিপত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৩৮ একরেরও বেশি জমির মালিকানা সরকারি দখলে চলে এসেছে, যার মধ্যে ৮২ একরে বিএসএফের নামে জমির মালিকানা পরিবর্তন সম্পন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার মতে, প্রতি মাসেই বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার জন্য বৈঠক করা হচ্ছে, যাতে জমি হস্তান্তরের কাজ ব্যাহত না হয়।
এই জেলার মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট এলাকাকে গুরুত্বপুর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে কাঁটাতারের অভাবে বিএসএফকে অতিরিক্ত নজরদারির প্রয়োজন হয়। মোট ৩১৮ একর জমিকে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বাগদায় ১০২ একর, গাইঘাটায় ১০০ একর, স্বরূপনগরে ৯২ একর এবং বনগাঁয় ২৪ একর জমির কথা উল্লেখযোগ্য। জমির পরিমাণ বেশি হওয়ায় এই ব্লকগুলিতে বিডিও, বিএলএলআরও সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও কিছু জমির মালিক নানা কারণে জমি দিতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন। তবে প্রশাসনের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যেই প্রায় ২১১ একরের বেশি জমির জন্য জমিদাতারা সম্মতি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।