তৃণমূল কংগ্রেসের দুইবারের লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র গত ৩ মে চুপিচুপি বিয়ে করেছেন বলে জানা গিয়েছে। দল এবং সাংসদ নিজেও এই বিয়ে সম্পর্কে সম্পূর্ণ নীরব ছিলেন। তবে ৫ মে একাধিক সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, দু'দিন আগেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। পরে নিজেও বিয়ের খবরটি নিশ্চিত করেন মহুয়া। বরের সঙ্গে কেক কাটার ছবিও পোস্ট করেন তৃণমূল সাংসদ। এরপরই মহুয়াকে শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় অভিষেক লেখেন, 'হার্দিক অভিনন্দন! একসঙ্গে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করার জন্য আপনাদের দু’জনকেই অফুরান সুখ ও মজবুত পার্টনারশিপের শুভেচ্ছা জানাই।'
জানা গিয়েছে, জার্মানিতে গিয়ে বিয়ে করেছেন মহুয়া মৈত্র। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় নবদম্পতির ছবি। জানা যাচ্ছে, মহুয়া মৈত্র বিয়ে করেছেন পিণাকী মিশ্রকে। তিনি বিজু জনতা দলের নেতা। তিনি পুরীর সাংসদ ছিলেন এর আগে। এটা মহুয়ার দ্বিতীয় বিয়ে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এর আগে তিনবছর আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদরাইয়ের সঙ্গে তিনবছরের সম্পর্কে ছিলেন মহুয়া মৈত্র। পরে তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। দু'জনের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ে। পোষ্যের কাস্টডি নিয়ে মামলা গড়িয়েছিল আদালতে। এদিকে সেখান থেকেই পরে অনন্তের সূত্র ধরে মহুয়া জড়িয়ে পড়েন সাংসদ পোর্টালের লগইন পাসওয়ার্ড বিতর্কে। তখন সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছিল মহুয়াকে।
এর আগে মহুয়া মৈত্র ডেনমার্কের ব্যবসায়ী লার্স ব্ররসনকে বিয়ে করেছিলেন। পরে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। আর এবার বার্লিনের প্রাসাদে নিজের জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসের সূচনা করলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। পিণাকী মিশ্রের বয়স ৬৫ বছর। এদিকে মহুয়ার বয়স ৫১ বছর। এটা পিণাকীরও দ্বিতীয় বিয়ে। জানা গিয়েছে, পেশায় আইনজীবী পিণাকী মিশ্র এর আগে মহুয়া মৈত্রের হয়ে মামলা লড়েছিলেন। যখন মহুয়াকে সাংসদ বাংলো খালি করর নোটিশ ধরানো হয়েছিল। তখনও মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পিণাকী। তৃণমূল সাংসদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছিলেন এই বিজেডি নেতা।