ডেঙ্গি মাথাচাড়া না দেয়, আগেভাগে সতর্ক দক্ষিণ দমদম পুরসভা
আনন্দবাজার | ০৬ জুন ২০২৫
পরিসংখ্যানের দিক থেকে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গির লেখচিত্র নিম্নমুখী। এক জন বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বছরের বাকি সময়ে সেই ধারা বজায় রাখতে বৃহস্পতিবার বিশেষ বৈঠক হল পুরসভায়। দক্ষিণ দমদমের ৩৫টি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা ছাড়াও স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সুডা)-র প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই, জল জমতে না দেওয়া, নিবিড় ভাবে বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি গত কয়েক বছরে যে সব এলাকা থেকে বেশি সংখ্যায় ডেঙ্গিসংক্রমিতের খোঁজ মিলেছিল, সেই সব জায়গায় চালানো হবে বাড়তি নজরদারি। যদিও বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, মাত্র এক জন আক্রান্ত হলেও আত্মসন্তুষ্টির কোনও জায়গা নেই। কারণ, দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় যেখানে-সেখানে আবর্জনা ফেলা কিংবা প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার এখনও পুরো বন্ধ করা যায়নি। তার উপরে বর্ষার শুরুতেই একাধিক ওয়ার্ডে জল জমার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। বিশেষত, মেট্রোর কাজের পরে জলমগ্ন হয়েছিল ২-৬ নম্বর ওয়ার্ড। তা ছাড়া, অপরিষ্কার জলাশয়, গুদাম, পুরনো কারখানা এবং একের পর এক বহুতলের নির্মাণকাজ মশার বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতিটি ওয়ার্ডে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত ১০ জন কর্মীকে পথে নামানো হয়েছে। গত বছর এই সময়ে পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১২ জন। সেখানে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এক। তবে, তার পরেও বাড়তি সতর্ক থাকছে পুর প্রশাসন। সুডা-র পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি প্রতিরোধক কাজের দায়িত্ব বণ্টন করা হচ্ছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, চলতি বছরের পরিস্থিতি এখনও অনেকটাই ভাল। তা সত্ত্বেও মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে সব দিক থেকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।