শহরতলির ট্রেনের সময়ানুবর্তিতার উপরে বিশেষ ভাবে জোর দিচ্ছে শিয়ালদহ ডিভিশন। রেল সূত্রের খবর, দৈনিক প্রায় ২৫ লক্ষ যাত্রীর নির্ভরতার কথা মাথায় রেখেই এই তৎপরতা। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গত তিন মাসে শিয়ালদহ ডিভিশনে ট্রেন সময়ে চলার পরিসংখ্যান ঊর্ধ্বমুখী। মার্চ মাসে সময়ানুবর্তিতার হার ছিল ৮৯.৬৬ শতাংশ। এপ্রিল ও মে মাসে সেই হার বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ৯৩.১৯ এবং ৯৪.৭৬ শতাংশ। উল্লেখ্য, সারা দেশে অধিকাংশ ডিভিশনে ট্রেনের সময়ানুবর্তিতার হার গড়ে ৬৫ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।
রেল সূত্রের খবর, বিভিন্ন এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে গাড়ির চাপ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বহু ক্ষেত্রে ট্রেনের সময় রক্ষা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বারাসত, ব্যারাকপুর, সোদপুর, ঢাকুরিয়া, হাবড়া-সহ নানা জায়গায় এই সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়া, একাধিক এলাকায় স্থানীয়দের নিজেদের মতো করে তৈরি করা পথেযাতায়াতের প্রবণতাও আছে। রেলের তরফে ওই সব পথের মুখ রেলিং দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন শাখায় যেখানে সুযোগ আছে, তৈরি হচ্ছে ভূগর্ভ পথ।
শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রায় সাড়ে চারশো লেভেল ক্রসিং রয়েছে। রেলের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, সারা বছরে রেলে যত দুর্ঘটনা ঘটে, তার প্রায় ৬২ শতাংশের নেপথ্যে থাকে লেভেল ক্রসিং দিয়ে বেপরোয়া পারাপার। তাই দুর্ঘটনা কমানো ছাড়াও ট্রেনের দেরি ঠেকাতে ব্যস্ত লেভেল ক্রসিংগুলিতে নজরদারি বাড়ানো এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে রেল।