প্লাস্টিক বর্জ্যের বিপদ সম্পর্কে এখনও তেমন সচেতনতার প্রসার হয়নি। চার দিকে ক্রমাগত প্লাস্টিকের রমরমা। তাই প্লাস্টিকের দূষণ সম্পর্কে রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষ সচেতনতা-প্রচারের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে রাজ্যের উদ্যোগে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উদ্যাপন করা হয়। সেখানে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘হালকা হবে ভেবে নিজেদের সঙ্গে আমরা প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে বেরোই। কিন্তু তা বর্জ্য হলে সেটা যে কতটা ক্ষতিকর, সে সম্পর্কে এখনও ততটা সচেতনতা গড়ে তোলা যায়নি।’’
চলতি বছরের পরিবেশ দিবসের থিম ‘প্লাস্টিকের দূষণকে হারাতে হবে’। তবে সরকারি কর্তাদের একাংশ এ দিন স্বীকার করে নিয়েছেন যে, পুরোপুরি নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার এখনও চলছে। রাজ্য পরিবেশ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রোশনি সেন জানান, সুন্দরবনের মতো পরিবেশগত ভাবে স্পর্শকাতর এলাকায় প্লাস্টিক পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সারা রাজ্যে ২৭টি বেআইনি প্লাস্টিক উৎপাদনকারী ইউনিট বন্ধ করেছে সরকার। এ দিনের অনুষ্ঠানে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র, পর্ষদের সদস্য-সচিব জগদীশপ্রসাদ মীনা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয়কুমার রায়, রাজ্য জীববৈচিত্র পর্ষদের চেয়ারম্যান হিমাদ্রিশেখর দেবনাথ-সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।