• মমতাকে কুমন্তব্য: আজ পথে তৃণমূল, কেষ্ট-খোঁচা পদ্মের
    এই সময় | ০৬ জুন ২০২৫
  • এই সময়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপি নেতাদের কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার কলকাতায় পথে নামছে তৃণমূল। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তৃণমূলের মহিলা শাখা দক্ষিণ কলকাতার ট্র্যাঙ্গুলার পার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত আজ মিছিল করবে।

    যদিও বিজেপির প্রশ্ন, বীরভূমে তৃণমূলের শীর্ষনেতা অনুব্রত মণ্ডলকে এক জন পুলিশ ইনস্পেক্টরের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলতে একটি অডিয়ো ক্লিপে (এর সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময়’) শোনা গিয়েছে, সেখানে তৃণমূল কী ভাবে অন্যদের কুকথার সমালোচনা করে?

    আলিপুরদয়ারে গত সপ্তাহে নরেন্দ্র মোদী দলীয় সভা থেকে সেনাবাহিনীর অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছিলেন, মমতা তার পাল্টা কড়া জবাব দেন। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, তার পরেই বঙ্গ–বিজেপির নেতারা তৃণমূল নেত্রীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ শুরু করেন।

    বিজেপির অবশ্য দাবি, অনুব্রত মণ্ডল যে ভাষায় বোলপুরের আইসি লিটন হালদারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, তার পর অন্যের বিরুদ্ধে কুকথার অভিযোগ তৃণমূলের মুখে মানায় না।

    বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূল কার বিরুদ্ধে মিছিল করবে? মোদীর বিরুদ্ধে নাকি অনুব্রতর বিরুদ্ধে?।’ যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, অনুব্রতর কাজকে দল অনুমোদন করেনি, তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। পুলিশের কাছে তিনি এ দিন হাজিরাও দিয়েছেন।

    রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতিবার বলেন, ‘অনুব্রত যে কাজ করেছে, তা কোনও দিন সমর্থন করব না। অনুব্রত অন্যায় করেছে। কিন্তু তার চেয়েও অনেক বড় অন্যায়, যখন ভারতীয় সেনার কাউকে টেররিস্টের বোন বলা হয়। সেখানে পুলিশ প্রথমে কেন মামলা করল না? ওদের দল (বিজেপি) কী ব্যবস্থা নিয়েছে?’

    তৃণমূল এই যুক্তি দিলেও বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমাত্রা পল বলেন, ‘চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য–সহ তৃণমূলের যে নেত্রীরা রাস্তায় নামবেন, তাঁদের বলব মিছিল করার আগে লিটনবাবুর স্ত্রী–মায়ের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান।’

    তবে তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডলে বঙ্গ–বিজেপিকে ট্যাগ করে এ দিন বলা হয়েছে, ‘ একটা ছোট্ট ক্যুইজ় হোক। ব্রিজভূষণ শারন, কুলদীপ সিং সেঙ্গার, প্রোজ্জ্বল রেবান্না, অখিলেশ প্রতাপ সিং, মুকেশ ভোরা, অজিতপাল সিং চৌহান— এঁরা গর্বের সঙ্গে কোন দল করেন? আমরা উত্তরের অপেক্ষা রইলাম।’

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ অবশ্য মনে করেন, আজ মিছিলে তৃণমূল যদি অনুব্রতকে নিন্দা করার বিষয়টি রাখত, তা হলে সদর্থক বার্তা যেত জনমানসে। তাঁদের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট ভাবে বোঝানো যেত যে, তারা আত্মসমালোচনার রাস্তায় রয়েছে।

    রাজনৈতিক শিবিরের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বঙ্গ-বিজেপি নেতাদের একাংশের কুমন্তব্যের প্রতিবাদ করার পাশাপাশি চন্দ্রিমাদের শুক্রবারের মিছিলে অনুব্রতর বিরুদ্ধেও বার্তা দেওয়া হলে এই আত্মসমালোচনায় আখেরে উজ্জ্বল হতো দলের ভাবমূর্তিই।

  • Link to this news (এই সময়)