• প্রধানমন্ত্রী এখনই প্রচারে কেন, ধন্দ গেরুয়া শিবিরে
    এই সময় | ০৬ জুন ২০২৫
  • এই সময়: বঙ্গ-বিজেপি যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৪ বছরের শাসনের পতন চেয়ে পথে নামার তোড়জোড় করছে, ঠিক তখনই দিল্লি থেকে নতুন ‘অ্যাসাইনমেন্ট’–এর বার্তা এল। বলা হলো, আগামী একমাস জোরকদমে মোদী সরকারের ১১ বছরের সাফল্য প্রচার করতে হবে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের।

    যা শুনে ভুরু কোঁচকাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের অনেকেই। বলছেন, ‘লোকসভা ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সরকারের ঢাক পেটাতে হয়, আর বিধানসভা ভোটের মুখে বিরোধীদের কাজই হলো শাসকের পর্দা ফাঁস করা। কিন্তু দিল্লি থেকে উল্টো নির্দেশ এসেছে। ওরা বঙ্গ-রাজনীতির মেজাজটাই ধরতে পারছে না।’

    গোটা জুন মাস দেশ জুড়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ১১ বছর পূর্তি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে‍ন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই মতো সব রাজ্যে সার্কুলারও পাঠানো হয়েছে। ঠাসা সেই কর্মসূচির গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি থেকে কী ভাবে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছে, সেটা ঢেঁড়া পিটিয়ে বলতে হবে।

    গত ১১ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার কতগুলি নতুন প্রকল্প চালু করেছে, এবং তার উপযোগিতাই বা কী, সেটা প্রতিটি জেলায় গিয়ে বিজেপির রাজ্য ‍‍নেতাদের প্রচার করতে বলা হয়েছে।

    এদিকে, বাংলার বিজেপি নেতারা গত ১৪ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ‘অপকীর্তি’র খতিয়ান তৈরি করে বসে আছেন। তাঁরা চাইছেন, ১১ বছরে মোদী কী করেছেন, তাতে ফোকাস না করে গত ১৪ বছরে মমতা কী কী করেননি, সেগুলি প্রচারে তুলে ধরতে।

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির এক বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘দিল্লি থেকে আমাদের উপরে অনেক কিছুই চাপিয়ে দেওয়া হয়। এটা তার আরও একটা উদাহরণ। কেন্দ্রীয় সরকার কী করেছে, তার উপরে দাঁড়িয়ে কেউ বিধানসভায় ভোট দেয় ‍না।

    রাজ্য সরকারের কাজের ভিত্তিতে মানুষ ঠিক করে পরিবর্তন দরকার কি না। তাই আমাদের রাজ্য সরকারের নেগেটিভ দিকগুলি তুলে ধরতে হবে নিপুণ ভাবে। সেখানে দিল্লি বলছে গোটা জুন মাস জুড়ে মোদীর ঢাক পেটাও!’

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরও রাজ্যে আসার কথা আছে। তাঁরাও জেলায় গিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রকল্পগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করবেন।

    তবে বঙ্গ-বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন, দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বঙ্গ-সফরে এলে যেন মোদীর ঢাক কম পিটিয়ে রাজ্য সরকারকে বেশি গালমন্দ করেন। তাতে ২৬–এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজপির কিছু ভোট বাড়লেও বাড়তে পারে।

  • Link to this news (এই সময়)