জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নাবালক নির্যাতনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাহেনশা ওরফে শামসের আলমকে মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। শাহেনশার সঙ্গেই এই ঘটনায় জড়িত আরও দুই অভিযুক্ত আমিরুল মহম্মদ ওরফে আশিক ও ফিরোজ আলমকেও গ্রেফতার করেছে পুলিস। অভিযোগ, শাহেনশা ও তার দল নাবালককে উলটো করে ঝুলিয়ে বিদ্যুতের শক দেয়। শাহেনশা পুলিসের জালে ধরা পড়লেও, ওই নাবালক এখনও নিখোঁজ। শাহেনশাকে জেরা করে নাবালকের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ধরে শাহেনশাকে ট্র্যাক করে পুলিস। পুলিসের চোখে ধুলো দিতে বেশকয়েকটি মোবাইল ফোন সুইচ অফও করে দেয়। তার মধ্যে একটি ফোন অন করেছিল হাওড়া স্টেশনে। ওই ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করেই পুলিস দেখে শাহেনশা মুম্বইগামী ট্রেনে রয়েছে। তার লাইভ লোকেশন বাগনান দেখাচ্ছে। তখন পুলিসের একটি টিম মুম্বইয়ের কল্যাণ স্টেশনে যায়। সেখানে ওখানকার রেল পুলিসেরর সাহায্য নিয়ে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিস যৌথভাবে শাহেনশা সহ মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে নাবালকের এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। নাবালকের খোঁজ পেতে কারখানা সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এদিকে ধৃতদের বয়ানেও মিলেছে একাধিক অসঙ্গতি। ধৃতদের দাবি, এলাকার এক ব্যক্তি তাদেরকে জানিয়েছিল যে সোমবার সকালে পাঁচুর কলেজের সামনে নাবালককে দেখতে পান তিনি। অন্যদিক ধৃতদের আরও দাবি, শাহিল নামে এক ব্যক্তির ভাগ্নের ওয়াশ কারখানাতে কাজে লাগানো হয়েছিল নাবালককে।
পুলিস এখন একটাই উত্তর খোঁজার চেষ্টায়, যদি ওই শিশুর কোনও ক্ষতি তারা না করে থাকে, তাহলে তারা ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছিল কেন? তাছাড়া শাহেনশাও ৭ বছর আগে মুম্বইয়ে কাজ করত। ফলে সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। উল্লেখ্য মোবাইল চুরির অভিযোগে নৃশংস অত্যাচার করা হয় ইসলামপুর থেকে কলকাতায় কাজ করতে আসা ওই কিশোরকে। কারখানার কর্মী ওই কিশোরকে পায়ে দড়ি বেঁধে ঝুলিয়ে মারধর, পরে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। অত্যাচারের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়।