উলটো করে ঝুলিয়ে ইলেক্ট্রিক শক! তারপর কী হয়েছিল? উত্তর খুঁজতে মরিয়া পুলিশ
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ জুন ২০২৫
কোথায় রয়েছে সন্তোষপুরের কারখানায় অত্যাচারিত কিশোর? এখন কেমন আছে সে? ইলেক্ট্রিক শক কাণ্ডে আপাতত এই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে স্থানীয় রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, মোবাইল চুরির অভিযোগে সম্প্রতি সন্তোষপুরের একটি কারখানায় এক কিশোরের সঙ্গে চরম পৈশাচিক আচরণ করা হয়। তাকে বেঁধে বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি উলটো করে ঝুলিয়ে ইলেক্ট্রিক শক পর্যন্ত দেওয়া হয়। সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই চম্পট দেয় কারখানার মালিক তথা এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাহেনশাহ। অন্যদিকে, ঘটনার তদন্তে নামে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ।
শাহেনশাহকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে মহারাষ্ট্র থেকে পাকড়াও করা হয়। একইসঙ্গে, সেখান থেকেই শাহেনশাহর দাদা ফিরোজ আলম ও তাদের নাবালক ভাগ্নেকেও গ্রেফতার করা হয়। তারও আগে এই ঘটনায় শাহেনশাহের কারখানার দুই কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে ধৃতের সংখ্যা পাঁচ। কিন্তু, যে নাবালকের উপর নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে জেরা করা হলে ধৃত পাঁচজনের বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। অভিযুক্তরা কখনও বলছে, অত্যাচারের পর আক্রান্ত কিশোরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কখনও বলা হচ্ছে, সে নাকি অন্য একটি কারখানায় কাজ নিয়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু, এই সমস্ত দাবির স্বপক্ষে এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও প্রমাণ পায়নি বলেই জানা গিয়েছে।
এই অবস্থায় সন্তোষপুরের সংশ্লিষ্ট এলাকায় যত কারখানা রয়েছে, সেই সমস্ত জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এমনকী, আজ ওই এলাকার সমস্ত খাল, পুকুর, ঝোপঝাড়ে পর্যন্ত তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ! কিন্তু, আক্রান্ত নাবালকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে, মহারাষ্ট্রে ধৃত শাহেনশাহ-সহ তিনজনকে ট্রানজিট রিমান্ডে যাতে দ্রুত রাজ্যে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।