স্বামী বাজার গিয়েছেন। বাড়ি ফাঁকা। সেই সুযোগে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটালে। নির্যাতিতা ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত তিন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মহিলা কানে কম শোনেন। বাড়ির দরজায় শিকল লাগিয়ে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন স্বামী। ওই বাড়িতেই ভাড়া থাকত ৩ পরিযায়ী শ্রমিক। স্বামী বেরিয়ে যেতেই দরজা খুলে চুপিসাড়ে ঘরে ঢোকে তারা। তারপরই মহিলাকে গণধর্ষণ করে।
মহিলাকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি ফিরে স্বামী দেখেন দরজা খোলা। ভেতরে তাঁর স্ত্রী জ্বালা-যন্ত্রণায় ছটফট করছেন! এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। রাতেই ৩ যুবককে আটক করে পুলিশ।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণ সহ শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ মেলায় শুক্রবার দুপুর নাগাদ তিন জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে SDPO দুর্লভ সরকার বলেন, ‘তিন যুবকের মধ্যে একজন ধর্ষণ করেছে এবং বাকিরা তাকে সঙ্গ দিয়েছে। ধৃতদের টিআই প্যারেড হবে। নেওয়া হবে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দিও।’
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা হলো বাপন বাউরি, আকাশ কর্মকার ও জগন্নাথ কর্মকার। এর মধ্যে বাপন ও আকাশের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনি এলাকায়। জগন্নাথের ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া এলাকার বাসিন্দা। ওই বাড়িতেই তারা ভাড়া থাকত। ঘাটালে সোলার প্যানেল লাগানোর কাজ করত। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। এর বাইরে তারা আর কোনও অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।