• রথের আগেই দিঘার জগন্নাথের প্রসাদ রাজ্যের ঘরে ঘরে
    এই সময় | ০৬ জুন ২০২৫
  • দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আশ্বাস মতো রথযাত্রার আগেই বিশেষ বাক্সে প্রসাদ পৌঁছবে বাংলা ঘরে ঘরে। আগামী ১৭ জুন থেকে রাজ্য জুড়ে প্রসাদ বিতরণ শুরু হবে। কী ভাবে রাজ্যের মানুষের ঘরে সেই প্রসাদ পৌঁছবে? কী থাকবে সেই বিশেষ বাক্সে?

    নবান্ন সূত্রে খবর, এ নিয়ে এসডিও ও বিডিও-দের কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রসাদ বিলির কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, আগামী ২৭ জুন রথযাত্রার আগে প্রসাদ বিতরণের কাজ শেষ করতে হবে। যদি সেই সময়ের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ শেষ না হয়, তাহলে ৪ জুলাইয়ের আগে তা শেষ করতে হবে। সব জেলাশাসককে বলা হয়েছে, নিজেদের এলাকার সেরা মিষ্টি প্রস্তুতকারকদের তালিকা তৈরি করতে।

    কী ভাবে রাজ্যবাসীর ঘরে পৌঁছবে প্রসাদ?

    খাদ্য দপ্তরের প্রকল্প দুয়ারে রেশন-এর মাধ্যমে বাংলার ঘরে ঘরে প্রসাদের বাক্স পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু অনেকেই এই রেশন প্রকল্পের মধ্যে নেই। তাহলে কি তাঁরা প্রসাদ পাবেন না? জগন্নাথের দেবের প্রসাদ থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হন, তার জন্য অন্য উপায় ভেবেছে রাজ্য সরকার। যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় নেই, তাঁদের বাড়িতে প্রসাদ পৌঁছে দিতে আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলায় জেলায় মাইকিং করে জানানো হবে কবে, কোথা থেকে প্রসাদ বিতরণ হবে। কলকাতায় পুরসভার কাউন্সিলারদের ঘরে ঘরে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    কী কী থাকবে বিশেষ বাক্সে?

    ৪.৮ সেন্টিমিটার মোটা একটি পেঁড়া থাকবে। যার ওজন হবে প্রায় ২০ গ্রাম। এ ছাড়াও সেই বাক্সে ৬০ গ্রাম ওজনের একটি গজা থাকবে।এই বাক্সে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের একটি ছবিও থাকবে। পুরো প্যাকেজিংয়ের দায়িত্বে থাকবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী।

    এই বিষয়ে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘সমস্ত প্রক্রিয়াটি রাজ্যস্তর থেকে হচ্ছে। এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’ একই কথা জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক মহুয়া মল্লিক।

  • Link to this news (এই সময়)