• শ্রীরামপুরে সোনার দোকানে লুটপাট করে পালিয়ে সোজা হাওড়া, শ্যামপুর থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করল পুলিশ...
    আজকাল | ০৭ জুন ২০২৫
  • মিল্টন সেন: গ্রাহক সেজে গয়নার দোকানে ঢুকে লুট। হাওড়া থেকে হুগলিতে এসে, রীতিমত রেইকি করে ঘটনা ঘটিয়েও মিলল না রেহাই। হাওড়ার শ্যামপুর থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করল চন্দননগর পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম সুশান্ত দাস, বাড়ি হাওড়া হেলার শ্যামপুর বড়গাছিয়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৮ মে শ্রীরামপুর বৌবাজারের একটি সোনার দোকানে লুঠপাঠের ঘটনাটি ঘটে। গ্রাহক সেজে দোকানে ঢুকে সোনার চেনের গোছা লুঠ করে চম্পট দেয় এক অভিযুক্ত।

    জানা গিয়েছে, প্রায় আট লক্ষ টাকার সোনার গয়না লুটের আগে ওই দোকানে দু’দিন এসে রুপোর গয়না কেনার নামে রেইকি করে গিয়েছিল ওই ব্যক্তি। এমনকি, ভাল করে দেখে যায়, দোকানে নিরাপত্তা রক্ষী নেই। দোকানের কলাপসিবল গেটে তালাও দেওয়া থাকে না। অনায়াসে জিনিস নিয়ে পালিয়ে যাওয়া যেতে পারে। সেই সুযোগকে কাজে লাগায় অভিযুক্ত সুশান্ত। তবে কাল হয়ে দাঁড়ায় দোকানের ভিতর থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরায় তার মুখের স্পষ্ট ছবি ধরা পরে যায়। ঘটনার তদন্তে নেমে সেই ছবি বিভিন্ন থানায় ছড়িয়ে দিয়েছিল পুলিশ। খবর আসে, ওই যুবকের বাড়ি হাওড়ার শ্যামপুর এলাকায়।

    বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে অভিযান চালায় চন্দননগর পুলিশের একটি দল। ছবির সঙ্গে অভিযুক্তের চেহারা মিলে যেতেই গ্রেপ্তার করা হয় সুশান্ত দাসকে। এর আগে কোন্নগরের একটি দোকান থেকেও একই ভাবে লুঠের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পর থেকে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ খুঁজছিল সুশান্তকে। শুক্রবার ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত এক সময় গুজরাটে গয়না তৈরির কাজ করত। সেখানেও এই একইভাবে বাইক চালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সোনার দোকানে রেইকি করত। তারপর সুযোগ বুঝে গয়না হাতিয়ে পালিয়ে যেত। তখনও সে সিসিটিভি ক্যামেরাকে পরোয়া করত না। তাই কখনওই এমন কীর্তি করার সময় মুখও ঢাকত না। এবারেও একই কাজ করেছে, কিন্তু রেহাই মেলেনি। ধরা পড়ে আপাতত পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে অভিযুক্ত সুশান্তকে। ছবি: পার্থ রাহা
  • Link to this news (আজকাল)