• 'মন্ডা মিঠাই কাঁড়ি কাঁড়ি! হাইওয়ের ধারে এবার থামতেই হবে চৌমাথার মোড়ে...
    ২৪ ঘন্টা | ০৭ জুন ২০২৫
  • অরূপ লাহা: বর্ধমান মানেই সীতাভোগ-মিহিদানার নাম সবার আগে আসে।পাশাপাশি  খ্যাতি আছে শক্তিগড়ের লাংচারও। তবে সেই তালিকায় আছে আউশগ্রামের বড়া চৌমাথার মণ্ডা। ফলে মিষ্টি প্রিয় ভোজন রসিক বাঙালির কাছে নতুন ডেস্টিনেশন ১১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের  বড়া চৌমাথা।

    বর্ধমান-বোলপুর ১১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই আউশগ্রামের বড়া-চৌমাথা। কলকাতা থেকে তারাপীঠ কিংবা শান্তিনিকেতন যাওয়ার অন্যতম যোগাযোগের মাধ‍্যম এই জাতীয় সড়ক। তার পাশেই মিষ্টির ভাণ্ডার। এক একটি মণ্ডার দাম পড়ে ৫ থেকে ১৫ টাকা। কী ভাবে তৈরি হয় এই ‘খাস’ মণ্ডা? বড়া চৌমাথার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সনৎকুমার রায় বলেন, ‘প্রথমে ছানার জল ঝরিয়ে স্বল্প পরিমাণ চিনির মিশ্রণে পাক তৈরি করা হয়। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে তীক্ষ্ণ নজরে এই পাক তৈরি করতে হয়। তার পর একটু ঠাণ্ডা হলে তৈরি হওয়া পাককে পাটাতে পেটানো হয়। একে অপরের সঙ্গে যোগ লাগিয়ে তৈরি হয় খাস মণ্ডা।’ 

    মণ্ডার জন্ম নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কারও মতে, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা গ্রামের ময়রা গোপালচন্দ্র পাল ওই মিষ্টি আবিষ্কার করেন। আবার কারও দাবি, মণ্ডার আবির্ভাব হয় বাঁকুড়ায়। তবে, এ-ও ঠিক এই মণ্ডা অন্য কোনও নামে বা আকৃতিতে হয়তো বাংলার অন্যান্য জায়গায় পাওয়া যায়। তবে বড়া অঞ্চলের মণ্ডা ‘খাস’ কারিগরদের হাতের কারসাজিতেই তৈরি হয়।  মণ্ডার এই স্বাদ পুরোটাই নির্ভর করছে এর পাকের উপর। তাঁদের মতে, ঠিক মতো পাক দিতে না পারলে কমে যায় মণ্ডার মান। তাই সে দিকে তীক্ষ্ণ নজর থাকে ময়রাদের।

    এখানকার মণ্ডার খ্যাতি বেশ সেই জন্য বর্ধমান-সিউড়ি জাতীয় সড়কে চলাচলকারীরা গাড়ি থামিয়ে একবার মণ্ডার স্বাদ নিতে নেমে পড়েন বড়া চৌমাথায়। কলকাতা থেকে তারাপীঠ কিংবা বোলপুর-শান্তিনিকেতন যাওয়ার জন্য অনেকেই এখন এই রাস্তা ব্যবহার করেন। ফলে জাতীয় সড়কের পাশে গজিয়ে ওঠা এই ছোট্ট জনপথে অনেকেই দাঁড়িয়ে পড়েন মণ্ডার টানে। তারপর চা সিঙাড়া খাওয়ার পাশাপাশি মণ্ডা কিনতে ভোলেন না পর্যটকরা। এখানকার মণ্ডা এতটাই খাস্তা, যে মুখে দিলেই সন্দেশের মতো মিলিয়ে যায়।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)