দুই বন্ধুর মধ্যে বচসা। আর সেই বচসা থেকেই বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠল অন্য বন্ধুর বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হুগলির খন্যান চৌমাথায় ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, এ দিন অভিযুক্ত রাজা তাঁর বন্ধু মিজানুর রহমানকে প্রকাশ্যে ছুরি দিয়ে একের পর এক কোপ বসায়। মিজানুর প্রাণ বাঁচাতে কোনও রকমে সেখান থেকে ছুটে অটো ধরে স্থানীয়দের সহায়তায় পাণ্ডুয়া হাসপাতালে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্ত রাজার খোঁজে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মিজানুর খন্যান পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন পরিযায়ী শ্রমিক। অভিযুক্ত রাজা খন্যান চৌমাথা এলাকার বাসিন্দা। সেই এলাকাতেই তাঁর একটি ফাস্ট ফুডের দোকান রয়েছে। মিজানুর মুম্বাইয়ে কর্মরত। কিছুদিন আগেই তিনি গ্রামে ফিরেছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, মাস খানেক আগে মিজানুর নিজের ফোন জলে ডুবিয়ে ভিডিয়ো শুট করেছিল। জল ঢুকে তাঁর ফোন খারাপ হয়ে যায়। বাড়িতে অশান্তি হবে ভেবে রাজাকে সেই ভিডিয়ো কাউকে দেখাতে বারণ করেন মিজানুর। কিন্তু রাজা তা শোনেনি। অভিযোগ, রাজা সেই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেয়। এ নিয়ে তখনই দু’জনের মধ্যে বচসা বাঁধে। এমনকী রাজা মিজানুরকে প্রাণে মারারও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি মিজানুর বাড়ি ফিরেছেন। শুক্রবার খন্যান চৌমাথায় মিজানুর আসতেই রাজা এই ঘটনা ঘটায়। এই ঘটনায় মিজানুরের মাথায় ও হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। পাণ্ডুয়া হাসপাতাল থেকেই মিজানুর বলেন, ‘আমরা দু’জনে খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু ওই ভিডিয়ো নিয়েই আমাদের মধ্যে অশান্তি হয়। আর তার পরে এই ঘটনা।’
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার বলেন, ‘দুই বন্ধুর মধ্যে ছবি তোলা নিয়ে গন্ডগোল ও মারামারি হয়। এক বন্ধু অন্য বন্ধুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।’