দিদিকে বলো: রাস্তা সংস্কার-নিকাশির জন্য ফোন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যর
বর্তমান | ০৭ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: নিকাশি নালা, রাস্তা সংস্কার এবং পানীয় জলের জন্য ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করছেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য। অথচ ওই এলাকার বিধায়ক বিজেপি’র। পঞ্চায়েত সদস্যর আস্থা ও ভরসা দিদিকে বলো’র উপর। সেখানে ফোন করে মিলেছে সাড়াও।
এমনই ঘটনা শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম-২ পঞ্চায়েতের বারিভাসার। স্থানীয় হনুমান মন্দির থেকে আটা মিল হয়ে রেল গেট পর্যন্ত রাস্তাটি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বেহাল। গৌতম দেব ২০১১ সালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী হওয়ার পর রাস্তা তৈরি হয়েছিল। তারপর রাস্তায় আর সংস্কারও হয়নি। গোটা রাস্তা খানাখন্দ। নেই নিকাশি নালা। ফলে বৃষ্টিতে রাস্তাজুড়ে জল দাঁড়িয়ে ডোবার চেহারা নিয়েছে।
একদিকে রাস্তার জমা জল দুয়ারে ঢুকছে, অন্যদিকে পানীয় জল মিলছে না। এক দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন বারিভাসার মানুষ। এলাকার পরপর চারটি পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি’র। এলাকার বাসিন্দা সতীশ অধিকারী, বিমল মজুমদার, ভুপাল সিং বাল্মিকী বলেন, সবাইকে বলেছি। পঞ্চায়েত সদস্যর কাছে বহুবার দরবার করেছি। কিন্তু কাজ হয়নি। এখন আর কাউকে বলি না। সতীশ বলেন, নোংরা জলের মধ্য দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছে দিতে হয় কোলে করে। এর পাশাপাশি আমরা পানীয় জল পাই না। সারা বছর জল কিনে খেতে হয়।
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ বিশ্বাস স্বীকার করেন, এখানকার কয়েক হাজার মানুষ চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন,আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতে যে টাকা আসে তা দিয়ে রাস্তা করা সম্ভব নয়। আমরা চারজন পঞ্চায়েত সদস্য মিলে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের চারজনের তহবিলের টাকাতেও এই কাজ করা যাবে না। তাই ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে বিষয়টি নবান্নের নজরে এনেছি। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। আশা করছি, পুজোর আগেই ড্রেন ও রাস্তার কাজ শুরু হবে।
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা কাজ করতে চাই। কিন্তু আমাদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ঠিক নয়। এলাকার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূলের মণীষা রায় বলেন, এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। এখানকার বিজেপির বিধায়ক নিষ্ক্রিয় থাকলেও আমরা মানুষের খেয়াল রাখি। তাই জেলা পরিষদে রাস্তার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। সেই মতো কিছুদিন আগে ইঞ্জিনিয়াররা এসে মাপজোখ করে গিয়েছেন। আশা করছি, কয়েক মাসের মধ্যেই রাস্তা ও নালার কাজ শুরু হবে।