মাথাভাঙায় লাম্পি স্কিন রোগে মৃত্যু একাধিক গোরুর, বৃদ্ধি পাচ্ছে উদ্বেগ
বর্তমান | ০৭ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা মহকুমাজুড়ে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গোরু ও বাছুর। গোটা গায়ে ফোস্কা পড়ে যাচ্ছে। সঙ্গে থাকছে জ্বর। চিকিৎসকদের দাবি, ২০১৯ সালে দেশে প্রথম গবাদিপশুর এই রোগটি শনাক্ত করা হয়। তারপর দেশের নানা জায়গায় তা ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই প্রথমদিকে চিকিৎসা শুরু না করায় গবাদিপশুর মৃত্যুও হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, এই রোগের নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ না থাকায় উপসর্গ দেখে চিকিৎসা করা হয়। প্রায় একমাস সময় লাগে আক্রান্ত গবাদিপশু সেরে উঠতে।
মাথাভাঙা মহকুমার তিনটি ব্লকের সর্বত্রই লাম্পিস্কিন রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। মূলত বাছুর বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। গোটা গা ফোস্কা পড়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন পর সেই ফোস্কা ফেটে গিয়ে ঘা হচ্ছে। অনেক বাছুর ঘাসও খেতে পারছে না। সঙ্গে গায়ে থাকছে প্রচণ্ড জ্বর। মাথাভাঙা শহর সংলগ্ন পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কয়েকজনের কয়েকটি বাছুর মারাও গিয়েছে। এনিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা।
মাথাভাঙা-১ ব্লক প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। একইসঙ্গে যারা চিকিৎসার জন্য গবাদিপশু নিয়ে আসছেন তাঁদের ওষুধ সহ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের অনেকেই প্রথমদিকে কবিরাজের কাছে ছুটছেন। সেক্ষেত্রে গবাদিপশুর অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হওয়ার পর চিকিৎসা শুরু হচ্ছে। প্রথমদিকে চিকিৎসা শুরু হলে মারা যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম থাকে।
এ ব্যাপারে মাথাভাঙা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের চিকিৎসক পীযূষ বর্মন বলেন, লাম্পি স্কিন রোগ একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। আমাদের দপ্তরের তরফে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। বাছুর বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ না থাকায় উপসর্গ দেখে চিকিৎসা করা হয়। একইসঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাতে বৃদ্ধি পায় এমন ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। সঠিকভাবে চিকিৎসা করলে বাছুর মারা যাওয়ার সংখ্যা খুবই কম হবে। এই রোগে শরীরের বাইরে যেমন ফোস্কা পড়ে, তেমনই শরীরের অভ্যন্তরেও একইরকম সংক্রমণ হয়। এজন্য আক্রান্ত পশুর চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা উচিত।
পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান কল্যাণী রায় বলেন, আমাদের পাড়ায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগ রোগ দেখা দিয়েছে। লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েকটি বাছুর মারা গিয়েছে। নিজস্ব চিত্র