সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ কাউন্সিলারের। আর এই অভিযোগ এনে শুক্রবার আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলার শান্তনু দেবনাথ নিজেই বালি, পাথর এনে তাঁর ওয়ার্ডের রাস্তার গর্ত বোজালেন। লোক লাগিয়ে রাস্তার অসমান অংশ সমান করালেন। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত আলিপুরদুয়ার পুরসভা। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল ও গ্যাসের পাইপ লাইন বসাতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। তার জেরে শহরের ২০টি ওয়ার্ডের গলি রাস্তায় গর্ত হয়েছে। কোথাও রাস্তা অসমান হয়ে আছে। কোথাও বৃষ্টিতে ধসে গিয়েছে রাস্তার পাড়। কিন্তু পাইপলাইন বসানোর পর রাস্তার গর্ত বোজানো বা উঁচু অংশ সমান করে দেওয়ার কাজে পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে শহরের সর্বত্র। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভালো রাস্তাগুলি খোঁড়খুঁড়ি করায় একটু বৃষ্টিতেই কাদা হচ্ছে। জল-কাদায় রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। এতে ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটছে। অনেক সময় নরম মাটির গর্তে অটো, টোটো, বাইকের চাকা ফেঁসে যাচ্ছে। কিন্তু পুরসভার এতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। পুরসভার এই উদাসীনতার প্রতিবাদেই এদিন বালি, পাথর এনে শান্তনুবাবু তাঁর ওয়ার্ডের সারদাপল্লির রাস্তার গর্ত নিজেই বুজিয়েছেন। রাস্তার অসমান অংশ সমান করেছেন। এভাবে কাউন্সিলারকে রাস্তার গর্ত বোজাতে দেখে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অবাক হয়ে যান। শান্তনুবাবুর অভিযোগ, পানীয় জল ও গ্যাসের পাইপ বসানোর বিরুদ্ধে আমাদের কারও কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু এই কাজের পর পুরসভা তো রাস্তার গর্ত বুজিয়ে অসমান অংশ সমান করে দেবে। কিন্তু পুরসভা এই কাজে হাতগুটিয়ে বসে আছে। তারই প্রতিবাদে বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নিজের ওয়ার্ডের রাস্তার এই কাজ করেছি। শনিবারও কাজ চলবে। পুর চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর অবশ্য বলেন, শান্তনুবাবুর অভিযোগ ঠিক নয়। পানীয় জল ও গ্যাসের পাইপ লাইন বসানোর কাজ এখনও শেষ হয়নি। এই কাজ শেষ হলেই ২০টি ওয়ার্ডের রাস্তার সংস্কারের কাজ শেষ হবে। তারজন্য সাড়ে আট কোটা টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। টেন্ডারও হয়েছে। নিজস্ব চিত্র