কুশমণ্ডিতে পঞ্চায়েতের কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
বর্তমান | ০৭ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: তপন ব্লকের আজমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়েছে কুশমণ্ডি থানায়। অভিযোগকারী তরুণী কুশমণ্ডি থানা এলাকার বাসিন্দা। গত ৩ জুন কুশমণ্ডি থানায় ওই কর্মীর নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে পুলিস খুঁজে না পেলেও ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে নিয়মিত অফিস করছেন তিনি। এমনটাই দাবি যুবতীর। গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিস তদন্ত করে দেখছে।
জানা গিয়েছে, আট বছর আগে ওই কর্মীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিচয় হয় এই যুবতীর। তারপর প্রেম। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীর সঙ্গে দীর্ঘদিন সহবাস করেছেন অভিযুক্ত। পরে যুবতীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন অভিযুক্ত। যুবতীর সঙ্গে যোগাযোগও ছিন্ন করে দেন। পরে বংশীহারি ব্লকের একাধিক জায়গাতে প্রভাবশালীদের উপস্থিতিতে সালিশিও বসে। কিন্তু চিঁড়ে ভেজেনি। তরুণীর অভিযোগ, টাকা দিয়ে আট বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব দেওয়া হয় অভিযুক্তর তরফে। এমনকী, অভিযুক্ত এই যুবতীকে ব্ল্যাকমেলও করেন। বাধ্য হয়ে যুবতী কুশমণ্ডি থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগকারী গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান রামপ্রসাদ রায় বলেন, আমাদের ওই কর্মী নিয়মিত অফিস করছেন। তবে কয়েকদিন ধরে দেখছি, তাঁর মন ভালো নেই। চিন্তিত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি জানা ছিল না। গুরুতর অভিযোগের পরও ওই আধিকারিককে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতা যুবতী। বিষয়টি জানা নেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। সরকারি কর্মী গ্রেপ্তার হলে সার্ভিস রুল অনুযায়ী জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তার আগে পর্যন্ত কেউ অফিস করতেই পারেন এদিকে অভিযুক্ত ওই পঞ্চায়েত কর্মীর মোবাইল স্যুইচ অফ থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।