• দাসপুরে শহিদ স্মরণ সভা, চারাগাছ বিলি
    বর্তমান | ০৭ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ঘাটাল: অন্যবছরের মতো এবারও ‘দাসপুর থানা শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে ৬জুন শহিদ স্মরণ সভা আয়োজিত হল। শুক্রবার দাসপুর থানার চেঁচুয়াহাট শহিদ স্মৃতি মঞ্চ লাগোয়া মাঠে এই সভা হয়। এদিন শহিদ বেদীতে মাল্যদান, শহিদদের স্মৃতিচারণ, চারাগাছ বিলি, রক্তদান ও বস্ত্র বিলির ব্যবস্থা করা হয়। দাসপুর থানা শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির সম্পাদক কৌশিক কুলভী বলেন, এদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী। দুই বিধায়ক অজিত মাইতি ও মমতা ভুঁইয়া, ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, এসডিপিও দুর্লভ সরকার সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    কমিটির সভাপতি গোপালচন্দ্র নন্দী এই দিনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ১৯৩০সালের ৩জুন চেঁচুয়াহাটে স্বদেশী আন্দোলনকারীরা বিলিতি কাপড় বয়কটের প্রচার করছিলেন। পুলিসকর্তা ভোলানাথ ঘোষ সেখানে পৌঁছে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেন। তখন আন্দোলনকারী মৃগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে ভোলানাথ ঘোষের হাতাহাতি হয়। উত্তেজিত জনতা ভোলানাথ ঘোষকে হত্যা করে। পুলিসের সহকারী অনিরুদ্ধ সামন্তকেও পরে হত্যা করা হয়। এঘটনার পর ৪জুন থেকে দাসপুর-চেঁচুয়ায় পুলিসি অত্যাচার শুরু হয়। ৬জুন পুলিস ক্যাম্প তুলে নেওয়ার দাবিতে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত করেন। সেদিন পুলিসের গুলিতে ১৪জন শহিদ ও ১৪৫জন জখম হন।

    পরে হাইকোর্টের রায়ে কানন গোস্বামী, সুরেন দাস, মৃগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সহ ১৩জনের যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা হয়। এছাড়া, আরও পাঁচজনের কারাদণ্ড হয়। ১৯৩১ সালের ৫মার্চ গান্ধী-আরউইন চুক্তি অনুযায়ী তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ৬জুন শহিদ স্মরণ দিবস পালিত হয়ে আসছে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)