• ক্যানিংয়ে ধানের জমিই এখন ভেড়ি বাড়তি আয়ের তাগিদে চলছে মাছ চাষ
    বর্তমান | ০৭ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ধান চাষ ছেড়ে মাছের ভেড়ি ব্যবসায় মজেছে জীবনতলার বহু কৃষক পরিবার। একটা সময় ছিল, যখন তাঁরা বিঘার পর বিঘা জমিতে ধান চাষ করতেন। ধান চাষে খরচ বেশি, অন্যদিকে ফলন ঘরে তুলতেও অনেক সময় লাগে। বরং মাছ চাষে কম সময়ে বেশি রোজগার হয়। সেকারণেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চাষের জমিকে খনন করে ভেড়িতে পরিণত করার প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ আবার নিজের ধান জমিতে খনন না করে মাছ চাষের জন্য সরাসরি লিজ দিয়ে দিয়েছেন।

    ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় গত বছরও রাস্তার দু’ধারে শস্যের খেত দেখা গিয়েছিল। এবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, সবুজ গালিচা আর নেই। উল্টে ওই জমিতে পরিণত হয়েছে জলাশয়ে। তাতে খেলে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাছ। যে সব কৃষকরা পেশা বদলে এখন মৎস্যজীবী হয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য, এক ভেড়িতেই রুই, কাতলা, মৃগেল, চিংড়ি ইত্যাদি মাছের চাষ হচ্ছে। ফলে কম সময়ে বেশি টাকা রোজগার হচ্ছে। কিন্তু ধান চাষ করলে ওই জমিতে আর কিছু করা যেত না। সূত্রের খবর, ধান বিক্রি করে আগে বছরে কয়েক লক্ষ টাকা রোজগার করতেন কৃষকরা। এখন মাছ চাষ করে তার তুলনায় বহুগুণ রোজগার করছেন তাঁরা।

    ধান চাষ ছাড়ার পিছনে একাধিক কারণের কথা উল্লেখ করেছেন কৃষকরা। প্রথমত, অপর্যাপ্ত বৃষ্টি, যেকারণে ফলন মার খাওয়ার আশঙ্কা থাকে। দ্বিতীয়ত, ঝড়-বৃষ্টি বা যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে লোকসানের প্রবল সম্ভাবনা থাকে। মাছ চাষের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি কম। সারা বছরই হরেক রকমের মাছ চাষ করতে পারেন ভেড়িতে। এসব কারণেই এখন এই ব্লকের কৃষকরা মাছ চাষে বেশি ঝুঁকেছেন। যাঁরা আগে ধান জমি লিজ নেওয়ার জন্য খোঁজ করতেন, এখন তাঁরাই ভেড়ি লিজ নেওয়ার জন্য খোঁজখবর করছেন।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)