• আবাস যোজনার টাকা মিললেও বাড়ি তৈরিতে বাধা স্থানীয়দের, হাইকোর্টের দ্বারস্থ গলসির মহিলা
    বর্তমান | ০৭ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সম্বল বলতে একটি মাটির বাড়ি। তাও ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। এই অবস্থায় আবাস যোজনার (গ্রামীণ) টাকা পেয়েও নতুন বাড়ি বানাতে পারছেন না বর্ধমানে গলসির বাসিন্দা আয়েশা শেখ। বাধ্য হয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু বাড়ি নির্মাণের টাকা হাতে পেয়েও কেন তিনি নতুন বাড়ি বানাতে পারছেন না? বর্ধমানের গলসি-২ নং ব্লকের দয়ালপুর গ্রামের বাসিন্দা আয়েশা। তাঁর বাবা অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। তারপর থেকে পাকাপাকিভাবে থাকার মতো কোনও বাড়ি ছিল না তাঁদের। এরপর ১৯৯৭ সালে দয়ালপুর গ্রামে ৪.৪৭ শতক সরকারি জমিতে আয়েশা ও তাঁর বিধবা মাকে বাড়ি বানিয়ে থাকার অনুমতি দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। সেই মতো ওই সরকারি জমিতে একটি মাটির বাড়ি বানিয়ে থাকতে শুরু করেন আয়েশা ও তাঁর মা। কিন্তু অভাব তাঁদের পিছু ছাড়েনি। বছর দু’য়েক আগে মায়ের মৃত্যু হয়। এরপর পরিস্থিতি যাচাই করে আয়েশাকে বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়ার ছাড়পত্র দেয় বর্তমান সরকার। তিনি ওই মাটির বাড়ি ভেঙে নতুন করে বাড়ি বানানোর উদ্যোগ নিতেই স্থানীয় লোকজন বাধ সাধে। তাদের দাবি, আয়েশা ওই জমিতে বাড়ি বানাতে পারবেন না। কারণ, জমিটি সরকারের। জমির ভাগ তাঁরাও দাবি করেন। স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়ে যান হতদরিদ্র এই মহিলা। উপায় না দেখে তিনি তড়িঘড়ি ছোটেন জেলা ভূমি ও ভূমিসংস্কার আধিকারিকের কাছে। গত ১৩ মার্চ পাট্টা পাওয়ার জন্য লিখিত আবেদনও জানান। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই আবেদনের কোনও জবাব পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে অবশেষে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আয়েশা। 

    সম্প্রতি বিচারপতি পার্থসারথী সেনের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। মামলাকারী ও রাজ্য সরকারের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি নির্দেশে জানিয়েছেন, ৩০ দিনের মধ্যে আয়েশার আবেদন যাচাই করে জেলা ভূমি ও ভূমিসংস্কার আধিকারিককে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)