নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: যানজটে নাভিশ্বাস উঠেছে ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর এলাকার বাসিন্দাদের। এখানে বাজার এলাকায় তেমাথা মোড়ের রাস্তা অপ্রশস্ত হওয়া সত্ত্বেও সেখান দিয়ে বড় বড় লরি যাতায়াত করে বলে অভিযোগ। তার উপর ওই রাস্তায় বেআইনি পার্কিং থেকে শুরু করে সামগ্রী সাজিয়ে রাখে দোকানিরা। ফলে আরও অপরিসর হয়ে গিয়েছে রাস্তা। একারণে যানজট আরও তীব্র হয়েছে। এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছে কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক বিভাগ। যানজট মুক্ত করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে চর্চা চালাচ্ছেন ট্রাফিকের কর্তারা।
এই রাস্তার একদিক সোনারপুর, অন্যদিকে ঘটকপুকুর। আরেকটি রাস্তা চলে গিয়েছে ঘুটিয়ারি শরিফের দিকে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যেভাবে প্রতিদিন যানজট হচ্ছে, তাতে তিতিবিরক্ত যাত্রীরা। এক দোকানি বলেন, তেমাথা থেকে লরিগুলি যাওয়ার সময় সমস্যা বেশি হয়। ১০ ও ১২ চাকার গাড়িগুলি বাঁক নেওয়ার সময় আটকে যায়। তখন উল্টো দিক থেকে আসা বাস বা অন্যান্য গাড়ি যেতে পারে না। সেকারণে দীর্ঘ যানজট হয়। ওই জট কাটাতে আধ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে যায়। কখনও কখনও গাড়ির চাপ বেশি থাকলে যানজট ছাড়তে কয়েক ঘণ্টাও লেগে যায়। ছুটির দিন হোক বা কাজের দিন— এই ছবি পরিবর্তন হয় না। যানজট প্রবণ এলাকায় পুলিস বা সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়মিত দেখা যায় না বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, চন্দনেশ্বর মোড় এলাকায় যানজটের রিপোর্ট এসেছে। বিষয়টি ভাঙড় ট্রাফিক গার্ডকে গুরুত্ব সহকারে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভাঙড়ের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী দিনে তা কার্যকর হবে। নিজস্ব চিত্র