রথযাত্রা এবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও, উৎসব ঘিরে শুরু বিশেষ আয়োজন
প্রতিদিন | ০৭ জুন ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন রথযাত্রা উৎসব মানেই পুরীতে হইহই রইরই ব্যাপার! এসময়ে ওড়িশার জনপ্রিয় সমুদ্র শহরে ভিড়ে ভিড়াক্কার ছবিটা খুবই চেনা সকলের। এবছর অবশ্য প্রায় একই ছবি ধরা পড়তে চলেছে বাংলার সৈকতে। দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির ঘিরেও এবার ভক্তদের ঢল নামার অপেক্ষা। শোনা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এবার দিঘার মন্দির রথের সূচনা হবে। সেই উৎসবকে সুষ্ঠুভাবে পালন করতে এখন থেকেই দিঘার মন্দিরে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। চলছে বিশেষ আয়োজন। রীতি মেনেই সব হবে, জানিয়েছে মন্দির ট্রাস্ট। তাই তুঙ্গে প্রস্তুতি।
এবছর ২৭ জুন রথযাত্রা উৎসব। তবে আচার পালন শুরু হয়ে যাবে তার অন্তত দিন ১৫ আগে। দিঘার জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে ?
১২ জুন (বৃহস্পতিবার) স্নানযাত্রা হবে।
২৬ জুন অর্থাৎ দু’সপ্তাহ পর জগন্নাথদেবের নবযৌবন ও নেত্র উৎসব। মাঝের এই ১৫ দিন জগন্নাথ দর্শন বন্ধ। ভক্তরা পুজো দিলেও দেবদর্শন করতে পারবেন না। কথিত আছে, স্নানযাত্রার পর জগন্নাথদেব জ্বরে আক্রান্ত হন। তাই তাঁকে বিশ্রামে বা লোকচক্ষুর আড়ালে রাখে হয়।
২৭ জুন (শুক্রবার) আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়ায় হবে রথযাত্রা। ওইদিন রথে চড়ে ‘মাসির বাড়ি’ যাবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। দিঘা থানার পাশে একটি পুরনো মন্দির রয়েছে। সেটিই জগন্নাথদেবের ‘মাসির বাড়ি’ হিসেবে গড়ে উঠেছে। পরবর্তী সাতদিন রথ থাকবে সেই পুরনো মন্দিরে। সেখান থেকে চলবে মহাপ্রসাদ বিতরণ।
আরও জানা গিয়েছে, রথে চড়ে ‘মাসির বাড়ি’ যাবে নিমকাঠ অর্থাৎ দারু ব্রহ্মের মূর্তিটি। পাথরের জগন্নাথদেব থাকবেন মূল মন্দিরে। ফলে দুটি মন্দিরেই পুজোর রীতিনীতি পালিত হবে। রথ কোন পথে যাবে, তা অবশ্য এখন চূড়ান্ত হয়নি। এই মুহূর্তে রথের আশপাশে মোট তিনটি গেট রয়েছে। তারই একটি গেট দিয়ে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে নিয়ে রথ যাবে ‘মাসির বাড়ি’।
তবে এই সময় বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে রথের যাত্রাপথ স্থির করা হবে। এ বিষয়ে বিশদে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আগমী ১০ জুন দিঘায় প্রশাসনের প্রস্তুতি বৈঠক রয়েছে। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর এই কয়েক মাসেই যেমন ভিড় হয়েছে, তাতে কর্তৃপক্ষের অনুমান, রথে জনসমাগম হবে লক্ষ লক্ষ। সেই ভিড় কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সেই প্রস্তুতিও চলছে প্রশাসনের তরফে। সবমিলিয়ে, ‘জয় জগন্নাথ’ ধ্বনিতে মুখরিত হওয়ার অপেক্ষায় বাংলার সৈকত শহর।