এলাকার প্রতিবেশী যুবকদের সঙ্গে রাজস্থানের যোধপুরে পাথরের কাজ করতে গিয়ে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়া শ্যামপুর থানার নোনাডাঙি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ইসমাইল আলি খাঁ (২৬)। রবিবার রাতে যোধপুরের একটি জায়গায় রেললাইনের পাশ থেকে ইসমাইলের মৃতদেহ উদ্ধার করে রেল পুলিশ। শুক্রবার মৃত যুবকের দেহ শ্যামপুরে তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। যদিও মৃত যুবকের পরিবারের দাবি ইসমাইলকে খুন করা হয়েছে।
ঘটনায় ইসমাইলের পরিবারের পক্ষ থেকে শ্যামপুর থানায় একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শ্যামপুর থানার পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি এলাকার কয়েকজন যুবকের সঙ্গে রাজস্থানের যোধপুরে পাথরের কাজ করতে গিয়েছিল ইসমাইল। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, মাঝে মধ্যেই ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা হতো ?। কখনও কোনও কথা সন্দেহজনক লাগেনি। আচমকা আসে মৃত্যুর খবর।
মৃত যুবকের পরিবারের দাবি, সোমবার যোধপুর থেকে রেল পুলিশ ফোন করে ইসমাইলের মৃত্যু সংবাদ দেয়। ইসমাইলের বাবা রুহুল আমিন খাঁ জানান, দিন কয়েক আগে ছেলে ফোন করে বলেছিল ঈদে বাড়ি আসবে। পরে সোমবার খবর পাই ইসমাইল রাজস্থানের ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গিয়েছে। যদিও রুহুল আমিন খাঁ এর দাবি, কেউ বা কারা ছেলেকে খুন করে ওখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল।
অন্যদিকে, শুক্রবার ইসমাইলের মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরলে উত্তেজনা ছড়ায়। পুনরায় মৃতদেহ ময়নাতদন্তের দাবিতে অনড় গ্রামবাসীরা। পরে শ্যামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীদের বোঝানোর পর মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়। কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। মৃত যুবকের প্রতিবেশী শেখ মফিজুল জানান ইসমাইলের মৃতদেহের ময়না তদন্তে আমরা সন্তুষ্ট নই। সেই কারণে আমরা দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের দাবি জানিয়েছি।