সুমন করাতি, হুগলি: হুগলি, বর্ধমানের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এবার এক বাসেই যাওয়া যাবে দিঘা। সমুদ্রের পাশাপাশি জগন্নাথ মন্দির দর্শনও করতে পারবেন সহজেই। নয়া উদ্যোগ দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার। মেমারি থেকে বাসভাড়া ২০৯ টাকা। আবার হুগলির মগরা বড়পাড়া থেকে দিঘা যাওয়ার খরচ মাত্র ১৮০ টাকা। বর্ধমানের মেমারি থেকে হুগলির বৈঁচি হয়ে ওই বাস যাবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের সামনে।
দিঘাতে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘায় তৈরি হয়েছে জগন্নাথ মন্দির। তারপরেই বেড়েছে দিঘায় নতুন করে পর্যটনের উৎসাহ। তারপরেই দিঘা যাওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হচ্ছে। সেভাবেই হুগলির প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে সরাসরি বাসে করে একেবারে কম খরচে এবার পর্যটকরা পৌঁছে যেতে পারবেন দিঘায়। প্রতিদিন মেমারি থেকে সকাল ৬টার সময় বাসটি ছাড়বে। যা বৈঁচি, পান্ডুয়া, মগরা হয়ে দুপুর ১২টার মধ্যে পৌঁছে যাবে দিঘায়। রাস্তায় ৪৫ মিনিটের বিরতি। তাতে যাত্রীদের খাওয়াদাওয়া করে নিতে পারবেন।
শুক্রবার নতুন বাস সার্ভিস ও বড় পাড়া বাস স্টপেজের শুভ উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য মানস মজুমদার-সহ বিশিষ্টরা। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরি করেছেন। যা শুধু রাজ্য নয়, রাজ্যের বাইরে বহু মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিন সেখানে হাজার হাজার ভক্তের ভিড়। যাত্রীদের সুবিধায় উত্তরবঙ্গ থেকে মোট ৬টি ভলভো বাস চালু করা হয়েছে। একইভাবে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও SBSTC এই বাস পরিষেবা চালু করেছে।” মানস মজুমদার বলেন, “বর্ধমান ও হুগলির মানুষের দাবি ছিল দিঘার সরাসরি বাস পরিষেবা চালু করা। মেমারি থেকে এই বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। যেটা হুগলির বৈঁচি, পান্ডুয়া, মগরায় দাঁড়াবে। যাতে সহজে মানুষ দিঘায় যেতে পারেন।” দিঘায় আগামী দিনে ভক্ত সমাগম আরও বাড়বে বলে আশা। তার ফলে পর্যটন ব্যবসায় জোয়ার বাড়বে। আরও শক্তিশালী হবে অর্থনীতি।