‘কুকথা বলা জন্মগত রোগ’, অনুব্রতকে নিশানা বিশ্বভারতীয় প্রাক্তন উপাচার্যের
প্রতিদিন | ০৭ জুন ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে দাপুটে নেতার সম্পর্ক বিশেষ ভালো ছিল না। আইসিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ বিতর্কের মাঝে সেই স্মৃতি উজাড় করে অনুব্রতকে একহাত নিলেন প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
এক সংবাদমাধ্য়মে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আন্দোলনের নামে টানা ২১ দিন উনি আমাকে উনি বন্দি করে রেখেছিলেন। জলের লাইন কেটে দিয়েছিল। বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কোনও সাহায্য করেনি। আমাকে কলকাতা হাই কোর্ট থেকে সাহায্য নিতে হয়েছিল।” অনুব্রত এমন কদর্য ভাষাতেই কথা বলেন বলেই দাবি বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যের। তিনি বলেন, “অনুব্রতর মুখে কুকথা আমি আগেও শুনেছি। আমরা প্রয়াত বাবাকে নিয়ে উনি একাধিকবার কুকথা বলেছেন। কুকথা বলা যেন ওর জন্মগত রোগ! কয়লাকে যতই ধোও তার রঙ কি কালো থেকে সাদা হবে?” কেন এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হলেন না অনুব্রত, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। বলেন, “দু’বার পুলিশি তলবের পর অনুব্রত পুলিশের কাছে হাজিরা দিলেও এখনও তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আজকে জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্টের পরে অনুব্রত মণ্ডল কীভাবে ঘুরে বেড়ায়?”
উল্লেখ্য, বোলপুরের আইসিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল অডিও ক্লিপ। যদিও সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। তবে দলের নির্দেশমতো ক্ষমা চেয়েছেন অনুব্রত। পুলিশি তলব এড়াতে প্রথম দিন অসুস্থতা, দ্বিতীয় দিন বেডরেস্টের কথা বলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা। পুলিশের কাছে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। তা সত্ত্বেও বীরভূমের প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতিকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা।