এই সময়: অবস্থান-আন্দোলনের মাঝেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন ‘যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’র প্রতিনিধিরা। এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা ২০১৬ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির তুলনায় এ বারের বিজ্ঞপ্তিতে কিছু ব্যাপারে অসঙ্গতির কথাও তুলে ধরেছেন।
তাঁদের যুক্তি, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকলেই সাধারণ ক্যাটিগরির প্রার্থীরা ২০১৬–এর নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পেরেছিলেন। এ বছর কমিশন তা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছে। ফলে বহু চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। একই ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত প্রার্থীরা।
কারণ, তাঁরা স্নাতক-স্নাতকোত্তরে ৪০ শতাংশ পেলেই পরীক্ষায় বসতে পারতেন। তথাকথিত ‘যোগ্য’দের তরফে বৈঠকে উপস্থিত অমিতরঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা এখনও পরীক্ষায় না বসার ব্যাপারে অনড়।
এমনকী ১৫ হাজার ৪০৩ জন যোগ্য শিক্ষক–শিক্ষিকার তালিকা প্রকাশেরও দাবি জানানো হয়েছে এসএসসি-র কাছে। কারণ, তালিকা থেকে অযোগ্যদের বাদ দিয়ে শুধু যোগ্যদের লিস্ট প্রকাশ করলে, রিভিউ পিটিশনে আমরা (যোগ্যরা) সুবিধাজনক অবস্থায় থাকতাম।’ তবে কমিশনের কর্তারা তাঁদের কোনও আশ্বাস দেননি।
কমিশন সূত্রে খবর, ‘যোগ্য’দের প্রতিনিধিরা জানতে চেয়েছিলেন, ‘টেন্টেডরা’ও পরীক্ষায় বসতে পারবেন কি না, সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মাবকাশ চলাকালীন রিভিউ পিটিশনের শুনানি হতে পারে কি না, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার নম্বর ইন্টারভিউয়ের আগেই যোগ হবে কি না ইত্যাদি।
‘যোগ্য’দের তরফে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে ২০১৬ সালের প্যানেল পুর্নগঠনেরও দাবি জানানো হয়েছিল। অর্থাৎ, ‘অযোগ্য’দের বাদ দিয়ে ‘যোগ্য’দের পৃথক তালিকা প্রকাশ, সেই সঙ্গে ওয়েটিং লিস্টের সফল প্রার্থীদের সেই প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিলেন তাঁরা।
কিন্তু কমিশনের চেয়ারম্যান তাঁদের জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে তাঁরা বাধ্য। তাই নতুন গেজেট বিজ্ঞপ্তি ও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। বৈঠকে ২০১৬–এর সমস্ত প্রার্থীর ওএমআর প্রকাশের দাবিতেও সরব হয়েছিলেন ‘যোগ্য’রা।
কিন্তু সিদ্ধার্থ এ ব্যাপারে তাঁদের স্পষ্ট জানান, সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি। তাই সর্বোচ্চ আদালতে রিভিউ পিটিশন পেশ করে শুনানির আগেই এ সব করলে আদালত অবমাননার মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।